More

Social Media

Light
Dark

ভাগ্যিস রাহুল এই টেস্টে খেলেননি!

ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টেস্টের পিচ নিয়ে সরগরম ক্রিকেটাঙ্গন। মাত্র সাত সেশনেই শেষ হওয়া টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ফাঁদে ফেলতে গিয়ে নিজেরাই পা হড়কেছে ভারতীয়রা। ইন্দোরের সেই পিচ নিয়ে নিজেদের অসন্তুষ্টি ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন ম্যাথু হেইডেন, মাইকেল ক্লার্কের মত ক্রিকেকারটা।

ইন্দোরের পিচ তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেও ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার অবশ্য সাফাই গেয়েছেন ভারতের পক্ষেই। কিন্তু ইন্দোরের পিচের সমালোচনায় ঠিকই যোগ দিয়েছেন ভারতের সাবেক নির্বাচক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তও।

শুধু পিচ নিয়েই কথা বলেনমি শ্রীকান্ত, এই টেস্টের আগে বহুল আলোচিত বিষয় লোকেশ রাহুলের একাদশে থাকা না থাকা নিয়েও কথা বলেছেন সাবেক এই নির্বাচক। অনেক সমালোচনার পর বাজে ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুলকে একাদশ থেকে বাদ দেয় ভারত। তাঁর জায়গায় সুযোগ দেয়া হয় ফর্মে থাকা শুভমান গিলকে। যদিও সুযোগ পেয়েও তেমন কিছুই করতে পারেননি গিল। উল্টো ভারত ম্যাচ হেরেছে নয় উইকেটে।

ads

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শ্রীকান্ত বলেন, ‘প্রথমত আমি লোকেশ রাহুলের জন্য খুশি। ভাগ্যিস সে এই ম্যাচে খেলেনি। সে যদি এমন উইকেটে খেলত এবং পরের দুই টেস্টেও ভালো করতে না পারত তাহলে তাঁর ক্যারিয়ার এখানেই শেষ হয়ে যেত। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে সে খেলেনি।’

ইন্দোরের পিচ নিয়ে শ্রীকান্ত বলেন, ‘এই ধরণের পিচে ব্যাটিং করা অনেক কঠিন। যেই ব্যাটিং করুক না কেন, সবার জন্যই কঠিন।এই ধরণের পিচে উইকেট পাওয়া খুব বড় কোনো ব্যাপার না। এমন কি যদি আমিও বোলিং করতাম তাহলে আমিও উইকেট পেতাম। মেনে নেয়া কঠিন হলেও এটাই সত্য।’

এমন পিচ বানানোর জন্য ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের সমালোচনা করেন শ্রীকান্ত। মনে করিয়ে দেন, র‍্যাংক টার্নার বানানো ছাড়াই ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-০ তে সিরিজ জিতেছিল ভারত।

শ্রীকান্ত বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন নয় এটি। তারা ভুল করছে। যদি আপনি ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পিচের দিকে দেখেন, সেগুলো র‍্যাংক টার্নার ছিল না কিন্তু ভারত ২-০ তে সিরিজ জিতেছিল। কিন্তু এখানে প্রথম দিন থেকেই বল বড় টার্ন নিচ্ছে। এসব পিচে ব্যাটিং করতে দেখাও অনেক কঠিন। এটি কোনোমতেই টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন নয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link