More

Social Media

Light
Dark

বাংলাদেশ-উইন্ডিজ সিরিজের জৈব বলয় যেমন হবে

আসছে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সফরে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সিরিজ দিয়েই দীর্ঘ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ। শুরুতে পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও লম্বা সময় জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে দেখে বাতিল করা হয়েছে টি- টোয়েন্টি সিরিজের সাথে একটি টেস্টও।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনুরোধে কোয়ারেন্টাইনের সময়ও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মাত্র ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে ক্যারিবিয়ানদের। এই এক সপ্তাহে তিন বার করোনা টেস্ট করা হবে ওয়েস্ট ইন্ডিসের ক্রিকেটারদের। এক সপ্তাহে তিন বার করোনা নেগেটিভ হলে তবেই মিলবে অনুশীলনের সুযোগ।

সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিসের জন্য মেডিক্যাল প্রোটকল কেমন হচ্ছে এই বিষয়ে ধারণা দিয়েছেন বিসিবির প্রধাণ চিকিৎসক দেবাশীস চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য মেডিক্যাল নির্দেশনা তৈরি করা হচ্ছে। এই নির্দেশনা অনুসারে কোভিড প্রোটকল আমরা তাদের জানিয়েছি। তারা সেটাতে সম্মতি দিয়েছে। আসার পর আমরা প্রথম দিন, তৃতীয় দিন, ষষ্ঠ অথবা সপ্তম দিন করোনা টেস্ট করার চেস্টা করবো।’

ads

সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় তিন বার করোনা টেস্টে নেগেটিভ হলে পূর্নাঙ্গ অনুশীলনের সুযোগ পাবে ওয়েস্ট ইন্ডিস। কিন্তু এর আগেই তৃতীয় দিন থেকে শর্ত সাপেক্ষ অনুশীলনের সুযোগ রাখা হয়েছে মেডিক্যাল প্রোটকল নির্দেশনাতে।

এই বিষয়ে দেবাশীস চৌধুরী বলেন, ‘তৃতীয় দিন থেকে তারা অনুশীলন শুরু করতে পারবে। কিন্তু তৃতীয় দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ অনুশীলন করতে হবে। বাইরের কোন সাপোর্ট স্টাফ ছাড়া ওরা নিজেরা নিজেদের মতো অনুশীলন করবে। ষষ্ঠ অথবা সপ্তম দিন আমরা আবার করোনা টেস্ট করবো। এই তিনটা টেস্ট এক সপ্তাহের ভিতর সম্পূর্ণ হওয়ার পরে ওরা অন্যান্য ক্রিকেটার বা নেট বোলার ও বাইরের লোকদের সাথে মিশতে পারবে।’

প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ওয়েস্ট ইন্ডিস সিরিজের জৈব সুরক্ষা বলয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী। জৈব সুরক্ষা বলয়ে হওয়া ঐ দুটি টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা ওয়েস্ট সিরিজেও কাজে দেবে বলে মনে করেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক।

দেবাশীস চৌধুরী বলেন, ‘গত দুইটা টুর্নামেন্ট আমাদের সামর্থ্য তৈরিতে অবশ্যই ভূমিকা রেখেছে। কিছু ভুল ক্রুটি খুঁজে পাওয়া গেছে সেগুলো ওয়েস্ট ইন্ডিস সিরিজে কমাতে চেস্টা করবো।ওয়েস্ট ইন্ডিসের দুই জন পর্যবেক্ষক এসে আমাদের পরীক্ষা করে গেছে।’

গত মাসের ২৭ তারিখে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) মেডিক্যাল প্যানেলের সদস্য ও বোর্ড পরিচালক ড. অক্ষয় মানসিং এবং বোর্ডের নিরাপত্তা ম্যানেজার পল স্লোয়িং করোনা পরিস্তিতি, নিরাপত্তা যাচাই ও করোনা প্রোটকল বিষয়ে ধারণা নিয়ে তিন ডিসেম্বর দেশে ফিরে গেছে।

পর্যবেক্ষক দল বিসিবির পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন দেবাশীস চৌধুরী। তিনি বলেন, ওরা আমাদের যে প্ল্যান ও অবকাঠামো তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। গত দুইটা টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবো অবশ্যই। আমরা খুবই আশাবাদী কোন ধরণের সমস্য ছাড়াই সিরিজটি শেষ করতে পারবো।

জানিয়ে রাখা ভাল, আগামী মাসের ১০ তারিখে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০ জানুয়ারি প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় ওয়ানডে ও ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দুই ম্যাচ হোম অফ ক্রিকেট শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামে। সিরিজের সব গুলো ম্যাচই শুরু হবে দুপুর দুইটায়।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে তিন ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট ও ১১ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। সফর সংক্ষিপ্ত করার জন্য বাতিল করা হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link