More

Social Media

Light
Dark

চূড়ান্ত বাজে রেফারিং?

কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস এর ম্যাচেও রেফারিং নিয়ে হয়েছে অনেক নেতিবাচক আলোচনা। এবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে রেফারির কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে চটেছেন ক্রোয়েশিয়া অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ। সেমিফাইনালে গোলরক্ষক লিভাকোভিচ এর করা ফাউল আর সেখান থেকে আর্জেন্টিনার পাওয়া পেনাল্টি নিয়ে ঘোর আপত্তি এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকার।

টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠার মিশনে খেলতে নেমে আর্জেন্টিনার কাছে ৩-০ গোলে হেরে সেমিফাইনালেই থামতে হয় ক্রোয়েশিয়ার। কিন্তু ম্যাচের পর নিজের ক্ষোভ লুকাতে পারেননি মদ্রিচ। সরাসরি রেফারির সমালোচনা করতেও ছাড়েননি তিনি। মদ্রিচের এই ক্ষোভ প্রথমত আর্জেন্টিনার পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে।

ম্যাচের ৩২ তম মিনিটে বল নিয়ে ডিবক্সে ঢুকে পড়া আলভারেজকে ঠেকাতে এগিয়ে আসেন গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। লিভাকোভিচ বল ঠেকানোর চেষ্টা করার সময় সংঘর্ষ হয় আলভারেজের সাথে। সাথে সাথেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়রা সাথে সাথেই রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালেও,কর্নপাত করেননি রেফারি ডেনিলে ওরসাতো।

ads

সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) এর সহায়তা নিতে দেখা যায় অন-ফিল্ড রেফারিদের। কিন্তু সেদিন ভিএআর এর দারস্থও হননি ওরসাতো। ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্যকাররাও বলছিলেন, ভিএআর এর সাহায্য নিতে পারতেন রেফারি। এই ফাউলের জন্য হলুদ কার্ড দেখা লিভাকোভিচ দুর্ভাগা বলেও উল্লেখ করেন তারা।

এই পেনাল্টি সহ আরো কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন মদ্রিচ। তিনি বলেন, ‘এটি ম্যাচের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত ছিলো। সে আমাদের একটি প্রাপ্য কর্নার দেয় নি এবং তাদের সেই পেনাল্টি দিয়েছে যেটি পেনাল্টি ছিলো না বলে মনে করি আমি। কারণ সে (আলভারেজ) শট নেবার সময় আমাদের গোলরক্ষক এর সাথে ধাক্কা খেয়েছে।’

ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে মদ্রিচের কন্ঠে হতাশাই ঝড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না সে এটি পেনাল্টি দিয়েছে। পুরো খেলার মোড় ঘুড়িয়ে দিয়েছে এটি।’

ওরসাতোর ব্যাপারে রীতিমত রাগ ঝেড়েছেন এই ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা, ‘আমি কখনোই রেফারিং নিয়ে কথা বলি না। কিন্তু আজকে কথা না বলে থাকা অসম্ভব। সে আমার দেখা সবচেয়ে বাজে রেফারিদের অন্যতম। শুধু আজকের খেলাই নয়, তার রেফারিং এ আমি অনেক ম্যাচ খেলেছি এবং কোনোবারই তার সাথে সুখস্মৃতি নেই। সে খুবই বাজে।’

৩৭ বছর বয়সী মদ্রিচের এটি ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে শেষ বিশ্বকাপ বলেই মনে করা হচ্ছে। নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নন তিনি। বললেন, ‘আমি এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কি হবে। এটা সঠিক সময় নয় এ নিয়ে কথা বলার জন্য। এখনো তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ বাকি এবং ব্রোঞ্জ পদক জেতার সুযোগ রয়েছে আমাদের। প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের।’

এমনিতে খুবই শান্ত স্বভাবের মদ্রিচ। কিন্তু এবার রেফারিকে নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করতে নিজেকে আটকাতে পারেননি গত বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জয়ী মদ্রিচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link