More

Social Media

Light
Dark

জীবন নিয়ে শঙ্কিত ইমরান খান

ঘটনা গত তিন নভেম্বরের। পাকিস্তানের ওয়াজিরাবাদে এক রাজনৈতিক মিছিলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইমরান খানের ওপর গুলি করা হয়। ঘটনায় ইমরান খান আহত হলেও তিনি বলেন তাকে হত্যার জন্য আবারও আক্রমণ হতে পারে। এ নিয়ে তিনি আতঙ্কিতও রয়েছেন।

সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান দাবি করেন, গতবারের ঘটনাই শেষ না। বরং ভবিষ্যতে আবারও তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। গত তিন নভেম্বর ওয়াজিরাবাদ নামক স্থানে গণভোটের দাবিতে করা  তার দলের এক র‍্যালিতে অকস্মাৎ গুলি চালানো হয়। যাতে আহত হন ইমরান খান।

পুলিশের তথ্যমতে, মোহাম্মদ নাভিদ নামক এক ব্যক্তিকে এই ঘটনায় জড়িত থাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ইমরান যখন র‍্যালিতে তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য শেষে হাত নাড়াচ্ছিলেন ঠিক তখনই নাভিদ পিস্তল বের করে গুলি করা শুরু করে।

ads

কিন্তু পুলিশের এই ভাষ্য গ্রহণ না করে ইমরান খান ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তারা আমাকে তাদের পথে বাঁধা মনে করে। আর এই বাঁধাকে সরানোর একটায় উপায় তা হল আমাকে মেরে ফেলা। আমি মনে করি, এখনও আমার জীবনের শঙ্কা রয়েছে।’

ইমরান খান আরও বলেন, ‘তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত যে তাকে হত্যার এই ষড়যন্ত্র বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং একজন ইনটেলিজেন্স অফিসার এর সাথে জড়িত। যতক্ষণ এই তিন ব্যক্তি চেয়ারে বসে আছেন, ততক্ষন আমি কোনো ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করিনা।’

তিনি মনে করেন এই ঘটনার তদন্ত সুষ্ঠ ভাবে হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আটককৃত ঐ ব্যক্তি একজন সাজানো পুতুলের মত, যে কিনা ঐসব ব্যক্তিদের পক্ষ হয়ে কাজ করতে এসেছিল। মূলত সামনের নির্বাচনে আমার দলের জনপ্রিয়তাতে  নিজেদের গদি হারানোর ভয়েই তাদের এই ষড়যন্ত্র। তাদের আমাকে হত্যা করতে চাওয়ার কারণ হল,আমার দলের জনপ্রিয়তা। আমার দল বর্তমানে তাদের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। তবে তাদের এও জানা উচিত মৃত্যুভয় দেখিয়ে তাকে কখনোই থামানো যাবে না।’

পাকিস্তানের ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘এই তদন্ত কাজে তিনি শুধুমাত্র পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল কেই বিশ্বাস করেন। এ বাদে তিনি আর কারও থেকেই ন্যায়বিচার বা সুষ্ঠু তদন্তের আশা করেন না।কেননা প্রধান বিচারপতি বাদে অন্য যে কেউই তদন্ত করতে গেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এতে হস্তক্ষেপ করে তা বানচাল করে দেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি ভবিষ্যতে আমার জীবনে আরও মৃত্যুর হুমকি আসবে এমনকি এখনও আমি শঙ্কায় আছি। কিন্তু আমি থেমে যাবার পাত্র নই। প্রয়োজনে আমি আরও বেশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হলেও এই সরকারের বিরুদ্ধে আমার কার্যক্রম চালাবোই।’

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশব্যাপী যে সমস্যা চলছে তার একমাত্র সমাধান হল একটা সাধারণ সুষ্ঠু নির্বাচন। আমি নিশ্চিত যে সেই নির্বাচনে আমার দল নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করবেই।’

ইমরান খানকে তার পদ থেকে এক অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পদচ্যুত করা হয়। বিভিন্ন সূত্রমতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাকিস্তানের উচ্চস্তরের বিভিন্ন ব্যক্তিই এর পেছনে দায়ী ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link