More

Social Media

Light
Dark

আবার সৌম্য-লিটনের ঝলকানি

টুর্নামেন্ট জুড়ে এবারের সবচেয়ে সফল জুটি সৌম্য সরকার ও লিটস দাস গতকাল প্রথমবারের মতো এক পার করা জুটি করলেন। রানের গতি খুব বেশী না থাকলেও চট্টগ্রামের জয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট ছিলো। ৩৬ রানে হারিয়েছে তারা রাজশাহীকে।

এদিকে টানা ৬ ম্যাচ হেরে প্লে-অফ খেলার শঙ্কায় রাজশাহী দল। নিজেদের ভাগ্য ঝুলে আছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের উপর। যেখানে ঢাকার কাছে বরিশাল হেরে গেলে শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ পাবে পদ্মা পাড়ের দলটি।

টুর্নামেন্টের প্রথম ২ ম্যাচ জেতার পর টানা ৫ ম্যাচে হেরে বাঁচা মরার লড়াইয়ে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। তবে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারেননি দলটি। চট্টগ্রামের কাছে ৩৬ রানে হেরে প্লে-অফ খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে সাইফউদ্দিন-শান্তরা। প্লে-অফ খেলার জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের দিকে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার কাছে বরিশাল হেরে গেলে তবেই শেষ চারে যেতে পারবে রাজশাহী।

ads

চট্টগ্রামের দেওয়া ১৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। আগের ম্যাচে দলকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইমনের সাথে দ্রুতই ফিরে যান রনি তালুকদারও। শান্ত ১০ বলে ১১, আনিসুল ইমন ৪ ও রনি তালুকদার করেন ১৬ রান। ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া রাজশাহীকে টেনে তোলার চেস্টা করেও পারেননি ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহান। ৪র্থ উইকেট জুটিতে ৩৬ রান করেন এই দুজন। ২০ বলে ১৯ রান করে রাব্বি ফিরে গেলে ভাঙ্গে এই জুটি।

রাব্বির বিদায়ের পর মেহেদী হাসান উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৭ বলে ২৬ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন মেহেদী। শেষ ৪ ওভারে ৬০ রান প্রয়োজন ছিলো রাজশাহীর। নুরুল হাসান সোহানের ২৮ বলে ২৮ রান সময়ের দাবি মেটাতে পারেনি। শেষের দিকে সাইফের ৪ বলে ৯ ও সানজামুলের ১২ রান শুধু হারের ব্যাবধানই কমিয়েছে। চট্টগ্রামের পক্ষে নাহিদুল ইসলাম ৩ টি, জিয়াউর রহমান ২ টি এবং রাকিবুল, মোস্তাফিজ ও শরিফুল ১ টি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টেসে হেরে ব্যাট করতে নামা গাজি গ্রুপ চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। টানা ২য় হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৪৮ বলে ৩ টি চার ও ৪ টি ছয়ে ৬৩ রান করে সৌম্য ফিরে গেলে ভাঙ্গে ১২২ রানের উদ্বোধনী জুটি। সৌম্যর বিদায়ের পর লিটন দাসও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দ্রুতই। বিশ্রাম থেকে ফিরে লিটন দাস করেন ৪৩ বলে ৪ টি চার ও ১ টি ছয়ে ৫৫ রান।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর অধিনায়ক মিঠুন (২) ও মোসাদ্দেক (৩) ফিরে গেলে রানের গতি থেমে যায় চট্টগ্রামের। কিন্তু শেষের দিকে শামসুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের ১৫ বলে ঝড়ো ৪৩ রানের জুটিতে রাজশাহীকে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় টুর্নামেন্টের শীর্ষ দল চট্টগ্রাম। শামসুর রহমান ১৮ বলে ৩০ ও জিয়াউর রহমান ৭ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। রাজশাহীর পক্ষে আনিসুল হক ২ টি এবং সাইফউদ্দিন ও রেজাউর রহমান ১ টি করে উইকেট লাভ করেন।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

গাজি গ্রুপ চট্টগ্রাম: ২০ ওভারে ১৭৫/৪ (লিটন- ৫৫, সৌম্য- ৬৩, মিঠুন- ২, মোসাদ্দেক- ৩, শামসুর- ৩০*, জিয়াউর- ১০*; আনিসুল- ২/২১, সাইফউদ্দিন- ১/৩২, রেজাউর- ১/৩৮)

মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: ২০ ওভারে ১৩৯/৮ (শান্ত- ১১, আনিসুল- ৪, রনি- ১৬, রাব্বি- ১৯, সোহান- ২৮, মেহেদী- ২৬, সাইফউদ্দিন- ৯, সানজামুল- ১২, আরাফাত- ৭, রেজাউর- ৩; নাহিদুল- ৩/১৯, জিয়াউর- ২/১৭, মোস্তাফিজ- ১/২৩, শরিফুল- ১/২৮, রাকিবুল- ১/৩১)

ফলাফল: গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৩৬ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: নাহিদুল ইসলাম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link