More

Social Media

Light
Dark

গ্রুপ পর্ব জমিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা

আগের দুই ম্যাচেই অপরাজিত দুই দলের জন্য এইটি ছিলো সেমিফাইনালের লড়াইয়ে এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচ। জয়ী দল গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করবে এমন সমীকরণের ম্যাচে ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে গ্রুপের শীর্ষে ওঠার সাথে সাথে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো প্রোটিয়ারা।

টস জিতে পার্থের বাউন্সি উইকেটে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা ছয় মেরে রানের খাতা খুললেও  সাজঘরে ফিরে যান দ্রুতই। এরপর আগের দুই ম্যাচের নায়ক বিরাট কোহলি টানা দুই চারে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিলেও দলীয় ৪১ রানে তিনিও ফিরে যান। 

ভারতের টপ অর্ডারের প্রথম তিন উইকেটই তুলে নেন তাবরাইজ শামসির জায়গায় দলে ডাক পাওয়া লুঙ্গি এনগিডি। বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর পর দুই ওভারে ফিরে যান অক্ষর প্যাটেলের জায়গায় আসা দীপক হুডা ও হার্দিক পান্ডিয়া। ৮.৩ ওভারেই মাত্র ৪৯ রানে নিজেদের প্রথম পাঁচ ব্যাটারকে হারায় ভারত। যার মধ্যে চার উইকেট তুলে নেন লুঙ্গি এনগিডি। তবে ভারতীয় ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন সুরিয়াকুমার যাদব। 

ads

ষষ্ঠ উইকেটে দীনেশ কার্তিককে সাথে নিয়ে দলের সংগ্রহে ৫২ রান যোগ করেন তিনি। যেখানে দীনেশ কার্তিকের অবদান ছিল মাত্র ১৫ বলে ৬ রান। তবে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনকে সুরিয়াকুমার যেন সূর্য হয়ে আলোকিত করেছিলেন। বাকি সবার ব্যর্থতার মধ্যেও নিজ আলোয় আলোকিত সুরিয়াকুমার যাদব ১৯তম ওভারে থামেন। ওয়েন পার্নেলের বলে কেশব মহারাজের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪০ বলে ৬৮ রান করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত আর কেউ ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে না পারলে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তোলে ভারত।  লুঙ্গি এনগিডি ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেনG ভারতের ইনিংসে সুরিয়াকুমার যাদব যেখানে ৪০ বলে ৬৮ রান করেছেন। বাকি সকল ব্যাটার ৮০ বল খেলে মাত্র ৫৭ রান করতে পেরেছেন। 

১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের বোলিং তোপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকান টপ অর্ডাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এক বলের ব্যবধানে পেসার আর্শদ্বীপ সিং তুলে নেন আগের ম্যাচের দুই নায়ক কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুশোকে।

 বিশ্বকাপের আগে থেকেই ফর্ম হারিয়ে ধুঁকতে থাকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে তুলে নেন মোহাম্মদ শামি। ২৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলের হাল ধরেন আইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। শুরুর দিকে ধীরগতিতে রান তোলা এই দুই ব্যাটার সময়ের সাথে সাথে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন। 

১০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪০ রানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫ ওভারে পৌঁছে যায় ৯৫ রানে। ১৬তম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া অর্ধশতক করা আইডেন মার্করামকে ফিরিয়ে ৭৬ রানের জুটি ভাঙ্গেন। তবে মার্করাম ফিরে গেলেও ডেভিড মিলার ছিলেন অবিচল। ১৮ বলে ২৫ রানের প্রয়োজন হলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ছয়ে জয়কে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন কিলার মিলার।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ৬ রানের। ভূবনেশ্বর কুমারের শেষ ওভারে প্রথম বলে ডট দিয়ে শুরু করলেও তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দুই চারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ডেভিড মিলার। ৪৬ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। আর্শদ্বীপ সিং দুইটি উইকেট তুলে নেন।

এই জয়ে তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-২ এর শীর্ষে উঠে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা । অপরদিকে দুই জয় ও এক হারে চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link