More

Social Media

Light
Dark

উইন্ডিজ ক্রিকেট: সেকাল-একাল ও আকাল

‘সেকাল-একাল আর আকাল’ -ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটীয় অবস্থাকে বোধহয় এভাবেই বর্ণনা করতে হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিগত চার আসরের মধ্যে দুই বারের চ্যাম্পিয়ন দল তাঁরা। এক সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি।

ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডস, ব্রায়ান লারা, কার্টলি অ্যামব্রোস এর মত কত শত কিংবদন্তি তৈরি হয়েছে দেশটিতে। আর বিশ ওভারের খেলার রাজা ছিল তাঁরা। অথচ কালের বিবর্তনে সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারিয়েছে সেই জৌলুস। আইসিসির র‍্যাংকিংয়ে তাঁরা এখন পেছনের সারির সদস্য। এককালে উসাইন বোল্টের গতিতে চলা দেশটির ক্রিকেট, এখন রীতিমতো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সোনালী যুগের যে অবসান ঘটেছে তার প্রমাণ এবারের বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে দলটির জায়গা হয়নি। তাই বাছাইপর্বে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘আন্ডারডগ’ দলটিকে বিশ্বকাপের মিশন শুরু করতে হয়েছিল। আর তাঁদের এই যাত্রাটা বাছাই পর্বেই থেমে গিয়েছে।

ads

অর্থাৎ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার বিশ ওভারের বিশ্বকাপের আসরে বাছাই প্রর্বটাও পেরোতে পারেনি। আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে এই আসরের দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা ইতোমধ্যেই বিদায় নিয়েছে আসর থেকে। অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি রিকি পন্টিং ওয়েস্ট ইন্ডিজের এরূপ প্রস্থানকে ‘কলঙ্কজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।

এব্যাপারে রিকি পন্টিং বলেন, ‘এটা খুবই কলঙ্কজনক। এটা তাঁদের ক্রিকেটের জন্য খুব খারাপ  ঘটনা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে খুব বেশি প্রতিভা পেয়েছে অথচ তাঁরা বিশ্বকাপের পরবর্তী পর্যায়ে যেতে পারবে না। এমনকি তাদের একজন প্রধান খেলোয়াড়ও বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য ফ্লাইটে উঠতে পারলেন না।  আমার কাছে এই ধরণের ঘটনার যোগফল হলো, সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের কাছে এই ইভেন্ট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিলোনা এবং আপনি যদি ভালভাবে দেখেন তবে আপনিও একই কথা বলবেন।’

সবমিলিয়ে দেশটির ক্রিকেটীয় অবস্থাটা বেশ ভঙ্গুর দশায় আছে। দলে এখন আর দারুণ পারফর্মার নেই, অভিজ্ঞরা নেই। আগের সেই প্রতাপও নেই। গতবার তারা সুপার টুয়েলভ অবধি পৌছাতে পারলেও, এবার তাঁর আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে উইন্ডিজরা। আপাতত এখানেই ইতি ঘটলো তাঁদের বিশ্বকাপ মিশনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link