More

Social Media

Light
Dark

অস্ট্রেলিয়ার বড় মাঠ: ভাল/মন্দ

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ধীরে ধীরে ক্রিকেট তারকাদের মেলা বসতে শুরু করেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ কে সামনে রেখে প্রতিযোগী দেশগুলো ইতোমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভিড় জমাচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলটিও অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছে। মহারণের প্রস্তুতিতে নিজেদের অনুশীলনে মগ্ন দলটি। অনুশীলনের পর পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে চলে যান রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহালরা। উদ্দেশ্য সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে যত বেশি পারা যায় ধারণা নেয়া।

২৩ তারিখ মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে ভারত এক সপ্তাহের জন্য পার্থে থাকবে। উদ্দেশ্য প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে ভারত। সেখানে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াকে ১৩ রানে হারিয়ে দিলেছে রোহিত শর্মারা।

ভারতের প্রধান স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলোর বড় বাউন্ডারি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন এটি বোলারদের আক্রমণ করার স্বাধীনতা দেবে। যেখানে নিজেদের ঘরের মাঠে একজন বোলারকেকে রক্ষণাত্মক কৌশল ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়।

ads

এই স্পিনার বলেন, ‘আপনি যখন অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে আসেন, তখন মাঠের সীমানা অনেক বড় হয়। যা বোলারদের স্বাধীনভাবে কাজ করার লাইসেন্স দেয়। আপনাকে কোন লেন্থে বোলিং করতে হবে তা জানাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আপনাকে ৫০-৫০ সম্ভাবনা মাথায় রেখে বল করতে যথেষ্ট সাহসী হতে হবে।’

রবিচন্দ্রন অশ্বিন আরও বলেন, ‘টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের আর মাত্র দুই সপ্তাহ হাতে আছে। এটি একটি বড় ইভেন্ট এবং আমরা এটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। আমরা এখানে মানিয়ে নিতে একটু আগে ভাগেই এসেছি, কারণ সাম্প্রতিক সময়ে আমরা কখনও অস্ট্রেলিয়ায় যাইনি। সুতরাং এখানে তাড়াতাড়ি পৌঁছে এখানকার পেস এবং বাউন্সে অভ্যস্ত হওয়াটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দলে কিছু খেলোয়াড় আছে যারা নতুন, তাই অস্ট্রেলিয়ার পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ।’

ভারতীয় ক্রিকেট দল সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সাথে ব্যাক টু ব্যাক টেস্ট সিরিজ জয় সহ সাফল্যের স্বাদ পেয়েছে। অশ্বিন জানান দল সেখান থেকে আত্মবিশ্বাসের খোরাক পাবে। অশ্বিন আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের এখানে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে চাই এবং অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন, বাউন্স এবং গতিতে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য পার্থের চেয়ে ভালো জায়গা আর একটিও নেই।’

সব মিলিয়ে ভারত আসলে নিজেদের পরিকল্পনা মতো এগোচ্ছে। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন ভারত বরাবরই ফেভারিটের তকমা নিয়েই এই বৈশ্বিক আসরে আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

তাঁদের গতবারের মিশনটি ব্যর্থ হলেও রোহিত শর্মার নেতৃত্বে নতুন করে এবারের মিশন সফলতা পেতে ছক এঁকেছে তাঁরা। সেই জন্যই আগে আগেই গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে নিজেদের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে।

তাছাড়া ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারিয়ে দলটি পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই বিশ্বকাপ মিশনে নেমেছে।  ‘মেন ইন ব্লু’-রা তাঁদের নীল নকশা অবলম্বন করে, এবারের বিশ্বকাপ আসরের গল্পটা সফলতার নাকি ব্যর্থতার লিখবে, সেইটুক জানাটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link