More

Social Media

Light
Dark

অধিনায়ক, ছোটদের কিংবা বড়দের

জাতীয় দলে খেলা ও জাতীয় দলকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নেতৃত্ব দেওয়া – এমন স্বপ্ন কে না দেখেন। আর দেশটার নাম যদি ভারত হয়, তাহলে এই স্বপ্ন দেখার লোকের সংখ্যা তো আর নেহায়েৎ কম নয়। এর মধ্যে ক’জনার স্বপ্নই আর পূরণ হয়।

আজকের গল্পটা তাঁদের যাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আর সেটা একবার নয়, দু’বার। তাঁরা জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার আগে অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতকে।

  • রবি শাস্ত্রী

সাবেক স্পিনিং অলরাউন্ডার রবি শাস্ত্রী ওই সময়কার ক্রিকেটার, যখন আসলে যুব পর্যায়ের ক্রিকেটের ধারণাই খুব বেশি গড়ে ওঠেনি। তিনি ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের প্রথম অধিনায়ক। ১৯৮১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম সেই ম্যাচটায় ভারত হারে।

ads

এরপর জাতীয় দলের হয়ে ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেন শাস্ত্রী। সিনিয়র দলের অধিনায়ক হিসেবে রবি শাস্ত্রীর অবশ্য বলার মত কোনো ক্যারিয়ারই নেই।

স্রেফ ভাগ্যের মারপ্যাচে একটা টেস্ট ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ভারত সেই ম্যাচ জিতে। এর বাইরে ১১ টি ওয়ানডে খেলেন অধিনায়ক হিসেবে। সেখানে জিতেন চারটি ম্যাচ। হারেন বাকি সবগুলোতে।

  • রাহুল দ্রাবিড়

রাহুল দ্রাবিড় অধিনায়ক হিসেবেও খুব বিচক্ষণ ছিলেন। যদিও, তাঁকে অধিনায়ক হিসেবে কখনোই বড় করে দেখা হয় না। ব্যাটার হিসেবে তিনি যেমন থাকেন শচীন টেন্ডুলকার কিংবা সৌরভ গাঙ্গুলির আড়ালে, এখানেও তিনি তেমন হারিয়ে যান বড় নামগুলোর ভিড়ে।

সৌরভ গাঙ্গুলির পর মোটামুটি বড় সময় রাহুল দ্রাবিড় নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতীয় দলকে। সেখানে সীমিত ওভারে খুব বেশি না হলেও বড় সাফল্য এসেছে টেস্টে। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের পারফরম্যান্স স্মরণীয় হয়ে আছে।

৭৯ টি ওয়ানডেতে রাহুল অধিনায়ক হিসেবে জিতেন ৪২ টি ম্যাচ। অন্যদিকে, ২৫ টি টেস্টের মধ্যে ১৯ টিতেই ছিলেন অপরাজিত। ছয়টি হারের পাশে তাঁর ছিল আটটি জয় ও ১১ টি ড্র। ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এর আগে ১৯৯২ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে তিনটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। সেখানে ভারতীয় যুব দল দু’টিতে জিতে হারে একটিতে। আর একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য না বললেই নয়। রাহুল একাধারে জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়কই ছিলেন না, আলাদা আলাদা ভাবে দু’টি দলের প্রধান কোচও ছিলেন। ক্রিকেটের ইতিহাসে এই নজীর আর নেই বললেই চলে।

  • বিরাট কোহলি

মূলত যুব পর্যায়ের ক্রিকেট দিয়েই সর্বপ্রথম লাইম লাইটে আসেন বিরাট কোহলি। ২০০৮ সালে মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে তিনি খেলতে যান ভারতের অধিনায়ক হয়ে। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বিরাট কোহলির ভারত।

সেটাই অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলির প্রথম ও শেষ আইসিসি ট্রফি জয়। ভারতকে তিনি বড় কোনো শিরোপা এনে দিতে পারেননি। ২০১৪ সালে তিনি পান টেস্ট অধিনায়কত্ব। এরপর কালক্রমে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্বও নেন। ধোনির ঐতিহ্যকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্বটা সহজ নয়। সেই কঠিন দায়িত্বই তিনি পালন করেছেন ঠাণ্ডা মাথায়।

বড় শিরোপা না থাকলেও তিনি টেস্টের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়কদের একজন। ভারতকে টেস্টে র‌্যাংকিংয়ের চূড়ায় তোলার পাশাপাশি তিনি অস্ট্রেলিয়াকে তাঁদেরই মাটিতে হারিয়ে আসেন বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির মঞ্চে। রাহুল দ্রাবিড়ের মত তিনিও আইপিএল দলে অধিনায়কত্ব করেছেন।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link