More

Social Media

Light
Dark

সাগরিকা, তুমি কার!

সকাল সকাল নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে একটা দারুণ শুরুর আভাস পাওয়া গিয়েছিল। তবে দিনের আলো যত গড়িয়েছে শ্রীলঙ্কাও আস্তে আস্তে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। এরপর অবশ্য আবার সাকিব-তাইজুলদের বোলিং দিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরে এসেছে। তবে সবকিছুর পর বলা কঠিন, চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে আসলে কারা এগিয়ে।

ওদিকে এই টেস্টে নাঈম হাসানের খেলারই কথা ছিল না। এমনকি টেস্ট দলেও ছিলেন না চট্টগ্রামের এই স্পিনার। নাঈমের ভাগ্য খুলেছে মেহেদী হাসান মিরাজের ইনজুরিতে। মিরাজ ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়ার পর একজন ডানহাতি স্পিনার খুঁজছিল বাংলাদেশ দল। সমাধানটাও খুব সহজই ছিল।

আজ চট্টগ্রামে সকাল সকাল বাংলাদেশকে একটা ভালো শুরু এনে দিলেন এই স্পিনারই। নিজের প্রথম ওভারে বোলিং করতে এসেই তুলে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের উইকেট। এরপর শ্রীলঙ্কা একটু গুছিয়ে নিতে চাইলে আবারো আঘাত হানেন সেই নাঈমই। এবার ফেরান ওশাদা ফার্নান্দোকে।

ads

ফলে সকালটা একেবারে মন্দ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। যদিও এরমধ্যেই দুইটি রিভিউও হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপরই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথউইস ও কুশাল মেন্ডিস মিলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। কুশাল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। এরপর সেট হওয়ার আগেই সাকিব ফিরিয়ে দেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে।

তবে এতকিছুর পরেও শ্রীলঙ্কার রানের চাকা থেমে থাকেনি। দিনশেষে চার উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ২৫৮  রান। এছাড়া বাংলাদেশের দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদও কোন উইকেট তুলে নিতে পারেননি। ফলে দিনটা বাংলাদেশের খুব ভালো গিয়েছে তা বলা যাচ্ছেনা।

আবার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশকে একেবারে ফেলে দেয়াও যাবেনা। বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং উইকেট এই সাগরিকাতেই। আজকের পিচও যথেষ্ট ব্যাটিং সহায়কই মনে হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে গত কয়েকবছর ধরেই হাই স্কোরিং ইনিংস দেখা যায় শুরুর দিকে। সাধারণত চতুর্থ দিনে গিয়ে উইকেট খানিকটা ভাঙতে শুরু করে।

ফলে এসব বিবেচনায় বাংলাদেশের স্পিনাররা একেবারেই খারাপ করেননি। তবে দিনের শুরুতে পেসারদের থেকে প্রত্যাশাটা আরেকটু বেশি ছিল। খালেদ, শরিফুলরাও দুই একটি উইকেট এনে দিতে পারলে দিনটাকে নিজেদের বলে দাবি করতে পারতো বাংলাদেশ। তবে আগামীকাল সকালে নিশ্চয়ই পেসারদের থেকে দ্রুত কিছু উইকেট আশা করবে বাংলাদেশ।

ওদিকে শ্রীলঙ্কার হয়ে আজ দারুণ ব্যাটিং করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথউইস। লংকান এই ব্যাটসম্যান সাগরিকায় তুলে নিলেন তাঁর ক্যারিয়ারের ১২ তম টেস্ট সেঞ্চুরি। অপরাজিত এই ইনিংসটিতে তিনি খেলেছেন মোট ২১৩ বল এবং তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১১১৪ রান। ফলে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারেন এই ব্যাটার। বাংলাদেশও নিশ্চয়ই এই ব্যাটারকে দ্রুতই ফিরিয়ে দিতে চাইবে।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link