More

Social Media

Light
Dark

‘আমরা দলের জন্য খেলি’

বল হাতে পেসারদের দাপটে শুরু। চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটা ফেভারিটের মতই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে আফগানদের সংগ্রহ মাত্র ২১৫ রান। ফলে মনে হচ্ছিল সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে ব্যাট করতে নেমেই বাংলাদেশের হোঁচট, সেখান থেকে অবিশ্বাস্য ভাবে ফিরে আসা।

আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের অবিশ্বাস্য জুটির পর বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় এক জয়। ওয়ানডে ক্রিকেটে এতটা রঙিন জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে বোধহয় কমই এসেছে। ৪৫ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও বাংলাদেশকে এই জয় এনে দিয়েছেন দুই ব্যাটসম্যান আফিফ ও মিরাজ। সপ্তম উইকেট করেছেন ১৭৪ রানের জুটি। দলকে নিয়ে গিয়েছেন জয়ের বন্দরে।

এত দ্রুত ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কী চলছিল আফিফের মনে সেটা এই ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটাই টার্গেট ছিল যে আমরা উইকেট দিব না। আমরা চেয়েছিলেন যত বেশিক্ষণ বাইশ গজে থাকা যায়। রান যা আসছিল তাতেই খুশি ছিলাম। শেষের দিকে তো বল টু বল রান ছিল। ফলে আমাদের বাড়তি কিছু করতে হয়নি। শুধু স্বাভাবিক ক্রিকেটটাই খেলে গিয়েছি।’

ads

ওদিকে আফগান পেসার ফজল হক ফারুকী তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের টপ অর্ডারের চার উইকেট। ফলে এই বোলারের বিপক্ষে বিশেষ কোন পরিকল্পনা ছিল কিনা এমন প্রশ্নও ছিল। আফিফ বলেন, ‘আমি আসলে পেসারদের নিয়ে খুব একটা ভাবছিলাম না। আমরা চাইছিলাম স্পিনারদের দেখে খেলতে। কারণ শেষ ৫ ওভারে ৫০ রান প্রয়োজন হলেও আমরা সেটা হয়তো চেষ্টা করতে পারতাম।’

ওদিকে আরেকপ্রান্তে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। আফিফের উপর চাপ পড়তে দেননি। সংবাদ সম্মেলনে এসেও সতীর্থ এই ব্যাটসম্যানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আফিফ। মিরাজকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন আমাদের বাউন্ডারি দরকার ছিল তখনই মিরাজ ভাই বাউন্ডারি মেরেছেন। এছাড়া আমাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত কথা হচ্ছিল। দুজনই বুঝতে পারছিলাম যে আউট না হলে ম্যাচ জিততে পারব।’

দুজনে যখন অনবদ্য এউ জুটি গড়ছিলেন তখন ড্রেসিং রুম থেকেও এসেছে নানা বার্তা। পুরো দলই নাকি বিশ্বাস রেখেছিল এই দুই ব্যাটসম্যানের উপর। ড্রেসিং রুম থেকে কী বলা হচ্ছিল সেটা নিয়ে আফিফ বলেন, ‘ড্রেসিং রুম থেকে একটা বার্তাই ছিল যে আমরা যেভাবে যাচ্ছিলাম সেভাবেই যেনো যাই। উইকেট না দিয়ে, উইকেট যেনো হাতে রাখি। আমরা দুজন যদি উইকেটে থাকি ম্যাচটা যেতা সম্ভব।’

ওদিকে আজকের ইনিংসটাকে নিজের ক্যারিয়ারে উপরের দিকেই রাখছেন এই ব্যাটসম্যান। কেননা আফগানিস্তানের সেরা বোলারদের বিপক্ষে রান করতে হয়েছে। এছাড়া এমন একটা সময় ব্যাট করতে নেমেছেন যখন দল খাঁদের কিনারায়। নিজের এই ইনিংস নিয়ে আফিফ বলেন, ‘আমার কাছে আজকের ইনিংস্টা অবশ্যই বেটার। কারণ আজকের ইনিংসটা বিশ্বমানের বোলারদের বিপক্ষে ছিল। ওনেক হিসেব করে তাদের খেলতে হচ্ছে।’

ওয়ানডে ফরম্যাটেও সিনিয়রদের ব্যর্থতার দিনে দলের হাল ধরলেন আফিফ ও মিরাজ। তবে আফিফরা এমন সিনিয়র-জুনিয়র হিসেবে ভাবতে রাজি নন। তাঁরা প্রত্যেকেই দলে ভূমিকা রাখতে চান। তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা ওভাবে কখনো চিন্তা করিনা। কে তরুণ, কে সিনিয়র। আমরা দলের জন্য খেলি, আমরাও দলের সদস্য। দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করি।‘

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link