More

Social Media

Light
Dark

ফিঞ্চ কিন্তু জানতেন…

ডেভিড ওয়ার্নারের স্ত্রী টুইটারে খোচাটা দিতে ছাড়েননি।

ওয়ার্নারের একটা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ফর্মহীন ও স্লো খেলোয়াড়।’ এরপর হাসির ইমোটিকন দিয়ে লিখেছেন-অভিনন্দন।

বোঝাই যাচ্ছে, ওয়ার্নারের সমালোচকদের এক হাত নিলেন তিনি। তো ওয়ার্নার যে এমন করে ফিরে আসবেন, সেটা কে-ই বা ভাবতে পেরেছিলো? ওয়ার্নার তো হারিয়েই গিয়েছিলেন।

ads

আইপিএল থেকে শুরু করে জাতীয় দল; কোথাও ওয়ার্নারের ব্যাটে রান ছিলো না। এ অবস্থায় ওয়ার্নারের ওপর বাজি ধরার জন্য তার স্ত্রী ছাড়া কী কেউ ‍ছিলেন?

হ্যাঁ, অ্যারন ফিঞ্চ ছিলেন।

অন্তত বিশ্বকাপ জয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ফিঞ্চ তেমনটাই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপের কয়ের মাস আগে থেকেই তিনি জানতেন যে, এই বিশ্বকাপটা ওয়ার্নারের হতে যাচ্ছে। তিনি পরিষ্কার করে নাকি ল্যাঙ্গারকে বলেছিলেন যে, ওয়ার্নার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হবে।

বিশ্বকাপ জয়ের পর ফিঞ্চ সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি অন্তত ওয়ার্নারের ওপর এই আস্থাটা রেখেছিলেন, ‘অবশ্যই আমার বিশ্বাস ছিলো। আমি একটা শব্দও মিথ্যা বলছি না। আমি কয়েক মাস আগে একদিন জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে ফোন করে বলেছিলাম, ডেভিকে (ওয়ার্নার) নিয়ে চিন্তা করো না, ও প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হবে।’

তবে ফিঞ্চ ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, কেবল ওয়ার্নার নন, তাদের অ্যাডাম জাম্পাও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার মতই খেলেছেন। ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অধিনায়ক বলছিলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জাম্পাও ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে যেতে পারে। সেটা হয়নি। যোগ্য হিসেবেই ডেভিড হয়েছে। ও গ্রেট ক্রিকেটার। সর্বকালের সেরা ব্যাটারদের একজন সে। সে সত্যিকারের একজন লড়াকু। আসলে ডেভিডের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায়, তখন আপনি ওর কাছ থেকে খুব, খুব সেরাটা পেতে পারেন। সে যেভাবে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে, সেটা অসাধারণ ছিলো। শেষ দুটো ইনিংসে তো দুর্দান্ত।’

তবে ফিঞ্চ মনে করেন, ফাইনালে ম্যাচটা তাদের দিকে ঘোরার ‘টার্নিং পয়েন্ট’ তার নিজের আউট হওয়াটা। বিষ্ময়কর হলেও ফিঞ্চ মনে করেন, তার আউট হওয়াটা দলের জন্য ভালো হয়েছে। নকারণ, ওই সময় মিচেশ মার্শ এসেছেন এবং খেলাটা ঘুরিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি মনে করি, আমার আউট হওয়াটা ছিলো টার্নিং পয়েন্ট আমি আউট হওয়ার পর মিচ মার্শ এলো এবং এসে যে ভঙ্গিতে খেলে খেলাটা ঘুরিয়ে দিলো, সেটা দারুন। ও অসাধারণ ছিলো। ডেভিডের সাথে ওর জুটিটা দুর্দান্ত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link