More

Social Media

Light
Dark

হারের পাল্লা ভারি হল

কাগজে কলমে একেবারেই ক্ষীন সম্ভাবনা থাকলেও সেমির স্বপ্ন যে বাংলাদেশের জন্য শেষ সেটা ক্রিকেটাররাও জানতেন। তবুও শেষটা ভালো করতে নতুন কোনো পরিকল্পনা নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই একই চিত্রই যেন দেখা গেল বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে! অসহায় আত্মসমর্পণ আর ভরাডুবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৬ উইকেটের হারে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ বাংলাদেশ।

মাত্র ৮৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের আঘাতে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে আউট হন রেজা হেনড্রিক্স। এরপর দলীয় ২৮ রানে মেহেদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন কুইন্টন ডি কক; ব্যক্তিগত ১৫ বলে ১৬ রান করেন তিনি। পরের ওভারেই তাসকিনের আঘাতে শূন্য রানেই আউট এইডেন মার্করাম। ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। তবে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও ভ্যান ডার ডুসেনের ব্যাটে আবার ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা।

দুজনের অসাধারণ জুটিতে সহজেই জয়ের একদম লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিকে ডুসেন আউট হলেও বাভুমা-মিলারের ব্যাটে ৬ উইকেট ও ৬.৩ ওভার হাতে রেখে জয় নিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো প্রোটিয়ারা।

ads

এর আগে আবুধাবিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সেই বেহাল দশা ফুটে উঠলো বাংলাদেশের ব্যাটিং শিবিরে। কাগিসো রাবাদার দাপটে টপ অর্ডার মুখ থুবড়ে পড়ে। ওপেনিং জুটিতে ২২ রান এলেও রাবাদার তান্ডবে ২ রানের মাথায় নেই ৩ উইকেট! নাইম শেখের পর সৌম্য গোল্ডেন ডাক ও মুশফিক ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই! সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আনরিচ নর্কে, প্রিটোরিয়াসের কাছে পরাস্থ হয়ে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। আফিফও আউট হন গোল্ডেন ডাকে!

৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে বাংলাদেশ। একপ্রান্তে লিটন দাস থিতু হলেও হাত খুলে মারতে পারছিলেন না। দলীয় ৪৫ রানে তাবরাইজ শামসির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ২৪ রানে ফেরেন লিটন। ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসানের সাথে জুটি গড়েন শামিম পাটোয়ারী। দু’জনে ধীরে ধীরে সিঙ্গেল বের করতে থাকেন। ১৯ রানের জুটিতে মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও শামসির আঘাতে আউট হন শামিম!

একপ্রান্তে চার-ছয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন মেহেদী। তবে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি। নর্কের গোলার আঘাতে দলীয় ৮৪ রানেই গুড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে মেহেদী সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে নরকে ও রাবাদা নেন তিনটি করে উইকেট।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ – ৮৪/১০ (১৮.২ ওভার); মেহেদি ২৭(২৫), লিটন ২৪(৩৬), শামিম ১১(২০); রাবাদা ৪-০-২০-৩, নর্কে ৩.২-০-৮-৩, শামসি ৪-০-২১-২।

দক্ষিণ আফ্রিকা – ৮৬/৪ (১৩.৩ ওভার); বাভুমা ৩১(২৮)*, ডুসেন ২২(২৭), কক ১৬(১৫); তাসকিন ৪-০-১৮-২, মেহেদি ২.৩-০-১৯-১, শরিফুল ৪-০-১৫-০, নাসুম ২-০-২২-১।

ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: ক্যাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link