More

Social Media

Light
Dark

ছক্কার হিড়িকের মহাযজ্ঞ

‘চার-ছক্কা হই হই বল গড়ায় গেলো কই?’ – ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলার মানুষ মেতেছিল এই গানের সুরে। বছর ঘুরে আবার ফিরে এসেছে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণের মহাযজ্ঞ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের আয়োজন ভারতের তত্ত্ববধানেও হলেও ভেন্যু এবার মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও ওমান। মরুর দেশে এবার বৃষ্টি হবে, চার-ছক্কার বৃষ্টি।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই মহা আসর বিরাট সব ব্যাটারদের দানবীয় সব কীর্তি দেখেছে। খেলা ৭১-এর এবারের আয়োজনের পুরোটা জুড়ে থাকছেন সেসব মারকুটে ব্যাটাররা, যারা কি না টি-টোয়েন্টির এই মহা আসরে হাকিয়েছেন সবচেয়ে বেশি ছক্কা। যাদের অনেকেই  খেলছেন না এবারের আসর। কিন্তু তাই বলে তো আর রেকর্ডের পাতায় তাঁরা মলিন হয়ে যাবেন না।

  • মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা)

ads

তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকছেন শ্রীলঙ্কান সাবেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে। তিনি সেই ২০১৪ সালে অবসরে গিয়েছেন, তবুও তিনি রয়েছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে। যদিও মাঝে একটি মাত্র বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকে শুরু করে পাঁচটি আসরে তিনি ৩১ ম্যাচ খেলেছেন। ছক্কা হাকিয়েছেন ২৫টি। কিন্তু একটি জায়গায় তিনি অনন্য। তিনি এই পাঁচ আসরে মোট চার মেরেছেন ১১১টি। তাঁরই সতীর্থ তিলকারত্নে দিলশান রয়েছেন চারের দিক থেকে জয়াবর্ধনের পেছনে। ব্যবধান দশ চারের।

  • এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা)

মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি উপাধি পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার আস্থা স্তম্ভ এবি ডি ভিলিয়ার্স টি-২০ বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণ। আফসোস তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং এবার দেখা হচ্ছে না সমর্থকদের। তবে ভিলিয়ার্স কিন্তু থেকে যাবেন স্মৃতির পাতায় কিংবা ধরুণ রেকর্ডের পাতায়।

তিনি ছক্কা হাকানোর তালিকায় রয়েছেন চতুর্থ অবস্থানে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৯ টি ইনিংস খেলে তিনি বল মাঠ ছাড়া করেছেন ৩০ বার। পক্ষান্তরে তিনি চার মেরেছেন ৫১টি। এছাড়াও তিনি প্রায় ১৪৩ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন ৭১৭। যা এই তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট।

  • শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া)

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের এক সময়ের সেরা অলরাউন্ডার শেইন ওয়াটসন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দুনিয়ায় বেশ সুপরিচিত তাঁদের মারকাটারি ব্যাটিং থেকে শুরু করে আগুন ঝড়ানো বোলিং কিংবা শিকারি বাজ পাখির মতো ফিল্ডিং এর জন্যে।

তাঁদের দলের শেন ওয়াটসনের ছক্কা মেরে  বল মাঠ ছাড়া করবার তালিকায় না থাকাটা চিন্তার কারণ হতে পারতো। ওয়াটসন ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র সংস্করণের মহা আসরে ইনিংস খেলেছেন ২২টি। এই ২২টি ম্যাচে তাঁর ছয়ের সংখ্যা ৩১টি। সমানতালে বাউন্ডারিও মেরেছেন এই অলরাউন্ডার যার সংখ্যা ৪১টি।

  • যুবরাজ সিং (ভারত)

ইংলল্যান্ডে বোলার স্টুয়ার্ড ব্রডকে এক ওভারে ছয় ছক্কা হাকানো ভারতের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং, আকাশী নীল জার্সি জড়িয়ে সর্বশেষ ছয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি।

ভারতের হয়ে ৩১ ম্যাচ খেলতে নেমে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছেন ২৮ ম্যাচে। সেই ২৮ ম্যাচেই তিনি ছক্কা হাকিয়েছেন ৩৩টি। এছাড়াও তাঁর ব্যাট থেকে চার এসেছে ৩৮টি। তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য টি-২০ বিশ্বকাপের ক্যারিয়ারে চারটি অর্ধশতকও করেছেন।

  • ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ক্রিকেট মাঠে বিধ্বংসী ঝড়ের অপর নাম ক্রিস গেইল, দ্য ইউনিভার্স বস। দীর্ঘকায় দানবীয় শরীরটি নিয়ে কতশত রেকর্ড যে তিনি লণ্ডভণ্ড করেছেন তার ইয়ত্তা নেই। ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে তিনি একাই যে কোন দলকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তাঁর অতিমানবীয় ব্যাটিং তাণ্ডবে।

এই মারকুটে ব্যাটার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৬ ইনিংস ব্যাট করবার সুযোগ পেয়েছেন। এতেই প্রায় ৪০ এর বেশি গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৯২০ রান। এই ৯২০ রানের পেছনে রয়েছে ৬০টি ছক্কা। যা যুবরাজ সিং এর হাকানো  ছক্কার প্রায় দ্বিগুণ। গেইলের মারা চারের সংখ্যা ৭৫টি। এবারের আসরেও তিনি প্রতিনিধিত্ব করবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। নিশ্চয়ই তিনি এবারো রেকর্ডের খাতায় নিজের নাম লেখাবেন নতুন করে কিংবা পুরাতন রেকর্ডগুলোতে বাড়িয়ে নেবেন সংখ্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link