More

Social Media

Light
Dark

ধোনির ম্যাজিকে ফাইনালে চেন্নাই

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪ তম আসরে ব্যাট হাতে মোটেও ছন্দে ছিলেন না মহেন্দ্র সিং ধোনি। গ্রুপ পর্ব জুড়েই ছিলেন নিজের ছাঁয়া হয়ে। যে ফিনিশিংয়ের জন্য ক্যারিয়ার জুড়ে ছিলেন বিখ্যাত সেখানেও ব্যর্থ হচ্ছিলেন বারবার। আজ অভিজ্ঞ এই সেনানী আবারো মুখোমুখি হয়েছিলেন শেষের সমীকরণ মেলানোর কঠিন চ্যালেঞ্জে।

তবে কোয়ালিফায়ারের মত গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে হতাশ করেননি ধোনি। অধিনায়কের দারুণ ফিনিশিংয়েই আইপিএলের ১৪ তম আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে দিল্লী ক্যাপিটালসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। ৬ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ধোনি।

এর আগে আট বার ফাইনাল খেলে তিন বার শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ধোনির নেতৃত্বাধীন দলটি। এবার তাদের সামনে চতুর্থ শিরোপা জয়ের হাতছানি। তবে আজ হারলেও এখনো ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে দিল্লীর।

ads

এলিমেনিটরে জয়ী দলের সাথে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জয় পেলেই ফাইনাল নিশ্চিত হবে তাদের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জয়ী দলকেই ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে চেন্নাই। তাই এই দুই দলের ফাইনালে আবার দেখা হয়েও যেতে পারে।

জয় পেলেও দিল্লীর দেওয়া ১৭৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাইয়ের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই এনরিচ নরকের বলে লাইন মিস করে ২ বলে ১ রান করে বোল্ড হয়ে যান ফাফ ডু প্লেসিস। ৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় উইকেটে ঋতুরাজ গায়কড় ও রবিন উথাপ্পার ১১০ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় চেন্নাই।

কিন্ত এর পরই সহজ জয়ের পথে ছুটতে থাকা চেন্নাইয়ের ইনিংসে জোড়া আঘাত হানেন টম কারান। ১৪ তম ওভারের তৃতীয় বলে উথাপ্পাকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর ওভারে শেষ বলে শার্দুল ঠাকুরকে ফিরিয়ে দেন এই পেসার। ৪৪ বলে ৬৩ রান আসে উথাপ্পার ব্যাট থেকে।
এরপর উইকেটে এসে আম্বাতি রায়ডু রান আউটের ফাঁদে পড়লে ম্যাচে ফিরে আসে দিল্লী।

১১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। তখনো জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২ বলে ৫৪ রান। আর শেষ দুই ওভারে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন দাঁড়ায় ২৪ রান। ১৯ তম ওভারের প্রথম বলে ৫০ বলে ৭০ রান করা গায়কড় ফিরে গেলে সমীকরণ আরো কঠিন হয়ে যায় চেন্নাইয়ের কাছে। কিন্তু ধোনির দারুণ ব্যাটিংয়ে ২ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে চেন্নাই। দিল্লীর পক্ষে তিনটি উইকেট শিকার করেন টম কুরান।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা দিল্লি ক্যাপিটালসকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন পৃথ্বী শ। এক প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও অন্য প্রান্তে দারুণ ব্যাট করতে থাকেন পৃথ্বী। উদ্বোধনী জুটিতে শেখর ধাওয়ানকে নিয়ে ৩৩ রান যোগ করেন পৃথ্বী। ৭ বলে ৭ রান করে জশ হ্যাজেলউডের প্রথম শিকার হয়ে ধাওয়ান ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি।

এই জুটি ভাঙার পর উইকেটে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল। হ্যাজেলউডের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৮ বলে ১ রান করে আইয়ার ফিরে যাওয়ার পর মঈন আলীর প্রথম শিকার হয়ে ১১ বলে ১০ রান করে ফিরে যান অক্ষর প্যাটেল। এরপর দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকা পৃথ্বীকে ফিরিয়ে দেন রবীন্দ্র জাদেজা।

আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৬০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন পৃথ্বী। এই ওপেনার বিদায় নিলে ৮০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দিল্লি। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮৩ রান যোগ করে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন শিমরন হেটমায়ার ও ঋষাভ পান্ত। ১৮ তম ওভারে ২৪ বলে ৩৭ রান করা হিটমায়ার ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি।

সঙ্গী ফিরে গেলেও ৩৫ বলে ৫১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন পান্ত। পান্তের ইনিংসে ভর করেই ১৭২ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি। চেন্নাইয়ের বোলারদের ভিতর জশ হ্যাজেলউড দুটি এবং রবীন্দ্র জাদেজা, মঈন আলী ও ডোয়াইন ব্রাভো একটি করে উইকেট শিকার করেন।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

দিল্লী ক্যাপিটালস: ১৭২/৫ (ওভার: ২০; পৃথ্বী- ৬০, ধাওয়ান- ৭, আইয়ার- ১, প্যাটেল- ১০, পান্ত- ৫১*, হেটমায়ার- ৩৭) (হ্যাজেলউড- ৪-০-২৯-২, জাদেজা- ৩-০-২৩-১, মঈন- ৪-০-২৭-১, ব্রাভো- ৩-০-৩১-১)

চেন্নাই সুপার কিংস: ১৭৩/৬ (ওভার: ১৯.৪; গায়কড়- ৭০, প্লেসিস- ১, উথাপ্পা- ৬৩, ধোনি- ১৮*) (কুরান- ৩.৪-০-২৯-৩)

ফলাফল: চেন্নাই সুপার কিংস ৪ উইকেটে জয়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link