More

Social Media

Light
Dark

উমহাদেশের বাইরে উপমহাদেশের পতাকা

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই রমরমা বাজারেও অনেক ক্রিকেট ভক্ত মনে করেন ক্রিকেটের আসল সৌন্দর্য্ নিহিত আছে টেস্ট ক্রিকেটেই। পাঁচদিনের টেস্টে টানটান উত্তেজনার পারদ জমে প্রতিটি সেশনে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল কিংবা সম্প্রতি শেষ হওয়া ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচে তাঁর প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।

তবে দেশের বাইরের উপমহাদেশের দেশগুলোর টেস্ট রেকর্ড খুব একটা সুখকর নয়। বিশেষ করে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিং কন্ডিশনে গিয়ে প্রতিরোধই গড়তে পারে না দলগুলো। তবে এর ব্যতিক্রম দলও আছে। যারা দেশের বাইরেও টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত জয়ের দেখা পাচ্ছে। ২০১০ সাল থেকে এশিয়ার দলগুলো দেশের বাইরে কতটা সফল তাই দেখবো এই তালিকায়।

  • বাংলাদেশ

এশিয়ার ক্রিকেটে নতুন পরাশক্তি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণ কিছু সাফল্য পেলেও টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্যের পাল্লা খুব ভারী নয় দলটির। যদিও দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মত দলগুলোর সাথে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে দেশের বাইরে টেস্ট ক্রিকেটে জয় নেই বললেই চলে।

ads

পেস বোলিং কন্ডিশনে গিয়ে লড়াই করাটাও কখনো কখনো কঠিন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের জন্য। ফলে ২০১০ সাল থেকে দেশের বাইরে জয় এসেছে মাত্র দুইবার। এরমধ্যে উল্লেখ করার মত আছে শুধু শ্রীলঙ্কায় নিজেদের শততত টেস্ট জয়। এছাড়া গত দশ বছরে দেশের বাইরে বলার মত কোন সাফল্য নেই দেশটির।

  • শ্রীলঙ্কা

একটা সময় ক্রিকেট বিশ্বের বড় আতঙ্কের নাম ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে দেশটির জন্য সেগুলো এখন শুধুই সোনালি ইতিহাস। খুব বেশিদিন আগের কথা না। তিলকারত্নে দিলশান, কুমার সাঙ্গাকারা কিংবা মাহেলা জয়াবর্ধনেরা যেকোনো দলকেও হারিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখতেন।

তবে এখন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের অবস্থা খুবই করুণ। ফলে গত দশ বছরে টেস্ট ক্রিকেটে দেশের বাইরে জয় আছে হাতেগোনা। ২০১০ সাল থেকে দেশের বাইরে লংকানরা টেস্ট জিতেছে মোট ৮ টি। তবে এরমধ্যে ৫ টি জয়ই এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

  • পাকিস্তান

শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের তুলনায় টেস্ট ক্রিকেটে অনেক বেশি সফল দল হিসেবে প্রমাণ করেছে পাকিস্তান। তাঁদের অভিজ্ঞ ও তরুণ ক্রিকেটারদের মিশেলে দারুণ একটি দল গঠিত হয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরেও পাকিস্তান একেবারে খারাপ দল নয়। তাঁদের দারুণ পেস বোলিং ইউনিট দেশের বাইরে বেশ কার্যকর।

এছাড়া তাঁদের ব্যাটিং লাইন আপও বেশ শক্তিশালি। ফলে পেস বোলিং কন্ডিশনে মোটামুটি সফল বলা যায় এশিয়ার এই ক্রিকেট পরাশক্তিকে। ২০১০ এর পর থেকে দেশের বাইরে পাকিস্তান টেস্ট জিতেছে মোট ১৩ টি। এরমধ্যে চারটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হলেও বড় দলগুলোর বিপক্ষেও স্মরনীয় কিছু জয় আছে পাকিস্তানের।

  • ভারত

এই মুহুর্তে টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সফল দল ভারত। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে দারুণ সাফল্য পাচ্ছে দেশটি। ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই। এছাড়া দেশের বাইরে ইশান্ত শর্মা, মোহম্মদ শামিরাও নিজেদের সেরাটা দিচ্ছেন। ওদিকে মোহম্মদ সিরাজের মত তরুণ পেসাররাও উঠে আসছে। ফলে দেশের মত দেশের বাইরেও নিয়মিত সাফল্য পাচ্ছে ভারত।

কয়েকমাস আগে কয়েকজন সিনিয়ন ক্রিকেটারকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জিতেছিল দেশটি। আবার সম্প্রতি লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেয়েছে কোহলিরা। ফলে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দেশের বাইরে সবচেয়ে সফল টেস্ট দল ভারতই। ২০১০ সাল থেকে এখন অবধি বিদেশের মাটিতে ১৪ টি টেস্ট জিতেছে ভারত। এই ইংল্যান্ড সিরিজে জয় সংখ্যা আরো বাড়বে বলেও আশা করা যায়।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link