More

Social Media

Light
Dark

লড়াইয়ের পুঁজি মুশফিক-রিয়াদের ব্যাটে

ইনিংসের শেষের দিকে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাই বড় রানের ভিত পেয়েও শেষের দিকে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে ব্যর্থ হয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে  সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।

মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবালের ব্যাটিং দৃঢ়তায় এই সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। হাফসেঞ্চুরি করেছেন অভিজ্ঞ এই তিন ব্যাটসম্যানই। এই তিন ব্যাটসম্যান ইনিংস আরো একটু বড় করতে পারলে শ্রীলঙ্কাকে আরো চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিতে পারতো স্বাগতিকরা।

তবে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান লিটন দাস। দুশমান্তা চামিরার অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ বল স্লটে পেলেও একটু আউট সুইং করায় প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন লিটন। আগের ৬ ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন এই ওপেনার।

ads

পাঁচ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তামিমের সাথে জুটি বাঁধেন সাকিব আল হাসান। তবে তামিম আত্মবিশ্বাসী থাকলেও উইকেটে শুরু থেকেই ধুঁকেছেন সাকিব। সাবধানী শুরু করা এই অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত ছন্দে ফিরতে না পেরে গুনাথিলাকার ফ্লাইটেড বল বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেন।

৩৩ বলে ১৫ রান করে সাকিব ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ছিল ১২.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৩। এরপর তামিম মুশফিকের ৫৬ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। এই জুটিতে বাড়ছিল রানের গতিও। কিন্তু তখনই ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার জোড়া আঘাতে আবার চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।

এই স্পিনারের ইয়র্কার লেংথের বল বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ হয়ে ৭০ বলে ৫২ রান করে ফিরে যান তামিম। এর পরের বলেই প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মোহাম্মদ মিঠুন। রিভিউ নিয়েছিলেন দুজনই; তবে আম্পায়ারের সিদ্বান্ত পাল্টাতে পারেননি কেউই। দুটি রিভিউই হারায় বাংলাদেশ।

টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন তামিম ইকবাল। আজ প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই ওপেনার। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৫৬ ম্যাচে ৪১৩ ইনিংসে তামিমের রান এখন ১৪০৫০।

৯৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে  পড়লেও মুশফিক মাহমুদউল্লাহর জুটিতে ঘুড়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বড় লক্ষ্যের ভিত পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। আস্থার সাথে ব্যাট করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪০তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম।

কিন্তু দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ৮৭ বলে ৮৪ রান করে ফিরে যান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। চারটি চারের সাথে একটি ছয় ছিল মুশফিকের ইনিংসে। ১০৯ রানের জুটি ভাঙার পর দ্রুতই ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে দুটি চার ও ১ টি ছয়ের সাহায্য ৭৬ বলে ৫৪ রান।

মাহমুদউল্লাহ ফিরে যাওয়ার পর শেষের দিকে আফিফ ও সাইফউদ্দিনের ১৭ বলে ২৭ রানের জুটিতে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। আফিফ ২২ বলে ২৭ ও সাইফউদ্দিন ৯ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার বোলারদের ভিতর তিনটি উইকেট শিকার করেছেন ডি সিলভা ও একটি করে উইকেট পেয়েছেন চামিরা, গুনাথিলাকা ও সান্দাকান।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২৫৭/৬ (ওভার: ৫০; তামিম- ৫২, লিটন- ০, সাকিব- ১৫, মুশফিকুর- ৮৪, মিঠুন- ০, মাহমুদউল্লাহ- ৫৪, আফিফ- ২৭* সাইফউদ্দিন- ১৩*) (চামিরা- ৮-০-৩৯-১, সিলভা- ১০-০-৪৫-৩, গুনাথিলাকা- ২-০-৫-১, সান্দাকান- ১০-০-৫৫-১)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link