More

Social Media

Light
Dark

কবে, কোথায় আইপিএল শেষ?

করোনা পরিস্থিতির কারণে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এবার থেমে গেছে মাঝপথেই। এতে বেশ বিপাকে পড়েছে বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। তবে এর মধ্যেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই আইপিএলের বাকি অংশ শেষ করতে চায় ভারত। এই নিয়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিও কথা বলেছেন একই সুরে।

এদিকে অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে ভারতে করোনার ভয়াবহতার কারণে তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তবে এতকিছুর মাঝেও ভারতের সামনে দুটি উপায় আছে আইপিএলের বাকি ৩১ টি ম্যাচ শেষ করা। একটি বিশ্বকাপের আগে এবং আরেকটি বিশ্বকাপের পরে।

  • সেপ্টেম্বরের শেষে ( বিশ্বকাপের আগে)

ads

সেপ্টেম্বরের শেষে ভারত, আরব আমিরাত এমনকি ইংল্যান্ডেও করা যেতে পারে আইপিএলের বাকি অংশ। তবে এদের মধ্যে আরব আমিরাতই সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হবে। এছাড়া আরব আমিরাতে যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হয় তাহলে এর আগে আইপিএল আয়োজন করতেও কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বরং আইপিএলের মাধ্যমের বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে নিতে পারে দেশটি।

ওদিকে সেপ্টেম্বরে টেস্ট সিরিজের জন্য ইংল্যান্ডেই থাকবে ভারতীয় দল। ফলে ইংল্যান্ডে আইপিএল হলে ভারত ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের সহজেই পাওয়া যাবে সেই সময়।

  • চ্যালেঞ্জ

তবে এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে সময় স্বল্পতা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১৬ অক্টোবর। সেক্ষেত্রে বায়োবাবল ও প্রস্তুতির কারণে সেপ্টেম্বরের শেষেই দলগুলো আসতে থাকবে আয়োজক দেশে।

এছাড়া পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে  আবার আইপিএল তারপর আবার কোনো বিরতি ছাড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া সম্ভব হবেনা ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য। ফলে এতকিছুর মাঝে আইপিএল মাঠে গড়ানোটা বেশ কঠিনই হবে।

  • নভেম্বরের শেষে ( বিশ্বকাপের পরে )

নভেম্বরের শেষে ভারত এবং আরব আমিরাত দুই জায়গাতেই আইপিএল হতে পারে। তবে আরব আমিরাতে হলেও দুবাইয়ের মাঠ তখন পাওয়া যাবেনা টি-টেন লিগের কারণে।

  • চ্যালেঞ্জ

এই সময়ে বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়েই বিপাকে পড়বে ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা সেই সময়ে ব্যস্ত থাকবেন অ্যাশেজ নিয়ে। এছাড়া মোটামুটি সব দেশই বিশ্বকাপের পরে ব্যস্ত হয়ে পড়বে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে।

এমনকি সেই সময়ে ভারতেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসার কথা নিউজিল্যান্ডের। আইপিএল মাঠে গড়াতে হলে তাই সেই সিরিজ ও পেছাতে হবে। এছাড়া নম্ভেম্বরের শেষ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও ব্যস্ত থাকবেন। পাকিস্তান বাংলাদেশে আসবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজি খেলতে। সেক্ষেত্রে সাকিব, মুস্তাফিজকে পাওয়া নিয়েও তৈরি হবে সংশয়। এদিকে আফগানিস্তানের খেলা রয়েছে জিম্বাবুয়ের সাথে। তবে সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো খেলা নেই।

ফলে ভারত যদি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ পিছাতে পারে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো যদি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের ছাড়া দল সাঁজাতে পারে তাহলে নভেম্বরই আইপিএলের বাকি ম্যাচ গুলো শেষ করার জন্য উপযুক্ত সময় হতে পারে।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link