More

Social Media

Light
Dark

‘পিচ সাইডিং’ কাণ্ডে আটক দুই

পিচ সাইডিং এর অভিযোগে দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়াম থেকে ভিন্ন ভিন্ন দুই ঘটনায় দুইজন ক্লিনার সহ মোট তিন জনকে আটক করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) দূর্নীতি দমন ইউনিট (এসিউ)। তারা দুজনই ক্লিনার ছদ্মবেশে স্টেডিয়ামে ম্যাচ গড়পেটায় যুক্ত ছিলো। বিসিসিআই এর দূর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান সাব্বির হোসেইন জানান অভিযুক্তদেরকে দূর্নীতি দমন ইউনিটের দু’জন দেখতে পেয়ে হাতে নাতে ধরে।

পিচ সাইডিং – অর্থাৎ মাঠ থেকে খেলার আপডেট তথ্য নিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জুয়া কিংবা বেটিং করা। দিল্লীর অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে এই পিচ সাইডিং করার সময়ই আটক হন দুই ব্যক্তি। এবারের আসরে মোট পাঁচ ম্যাচ খেলা হয়েছিলো দিল্লীতে।

দূর্নীতি দমন ইউনিট প্রধান সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমার দুইজন অফিসার তাদেরকে ধরে এবং দিল্লী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ওদের কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে এবং দিল্লী পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’

ads

কি কারণে তাকে ধরা হয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সে স্টেডিয়ামের ভিতরে মাঠের পাশে এক যায়গায় অবস্থান করছিলো। যখন আমার অফিসাররা সন্দেহের বসে তাকে জিজ্ঞেস করে তুমি এখানে কি করছো? সে উত্তর দেয় আমি আমার প্রেমিকার সাথে কথা বলছি। আমার অফিসার তখন তাকে বলে যে ওই নাম্বারে (প্রেমিকা) ফোন করো এবং আমাকে দেও। তখন সে সেখান থেকে পালাতে চায় এবং তার সন্দেহজনক কার্যকলাপে তাকে ধরা হয়। তার কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।’

এর আগে দু’জনকে আটক করা হয় ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে ক্লিনার হিসেবে মাঠে প্রবেশের জন্য। রাজস্থান রয়েলস রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ম্যাচের দিন এই কাণ্ড ঘটে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দিল্লী পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ ভিন্ন ভিন্ন দুই ঘটনায় আরো দু’জনকে আটক করা হয়েছে ফিরোজ শাহ কোটলা থেকে। দুইটি ভিন্ন দিনে তারা মাঠে প্রবেশ করে। একজন ক্লিনার বেশে প্রবেশ করে। আমরা তার আধার কার্ড সহ সব তথ্য দিল্লী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। আমি বেশ আত্ববিশ্বাসী ছিলাম যে বাকিরা এক দুইদিনের মধ্যেই ধরা পড়বে। তারা এসব তথ্য জুয়াড়িদের কাছে পাচার করছিলো। দিল্লী পুলিশ খুব ভালোভাবে আমাদের সহায়তা করেছে এবং পরে আরো দু’জন আটক হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘কোনো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এর সাথে জড়িতে থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মুম্বাই লেগ চলাকালিন হায়দ্রাবাদের টিম হোটেলে তিনজনকে পূর্বের রেকর্ড ভিত্তি করে সন্দেহ করা হলেও তারা কোনো খেলোয়াড়ের কাছে যেতে পারেনি। তবে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। অবশ্যই বায়ো বাবল এবং স্টেডিয়ামে যেহেতু কোনো দর্শক নেই তাই এটা তাদের জন্য কিছুটা সহজ হয়েছে তাদেরকে ধরার। মাঠে দর্শক থাকলে এটা খুবই কঠিন যে প্রত্যেককে চেক করা। আমরা এই খবর পাওয়া মাত্রই মুম্বাই পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেছি, মুম্বাই পুলিশ খুব দ্রুতই তাদেরকে ধরেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link