More

Social Media

Light
Dark

আশার বাণী শোনালেন মিরাজ

দেশের মাটিতে খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াটওয়াশ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াটওয়াশ হয়ে এখন বিপর্যস্ত বাংলাদেশ দল। তাই আলোচনা চলছে শ্রীলঙ্কা সিরিজে কেমন করবে বাংলাদেশ। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ শ্রীলঙ্কার মাটিতে সাম্প্রতিক ফলাফলকে অনুপ্রেরণা হিসাবে নিয়ে যেন আশার বাণীই শোনালেন।

সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াটওয়াশ হলেও তাঁর আগের সফরে একটি টেস্ট ও ওয়ানডে জিতেছিলো বাংলাদেশ। এছাড়া শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল খেলেছিলো মুশফিক তামিমরা। তাই মিরাজ বিশ্বাস করেন আগের সেই কমিটমেন্ট ধরে রাখতে পারলে এবারও শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভালো করবে বাংলাদেশ।

ads

তিনি বলেন, ‘দেখেন এর আগে আমরা শ্রীলঙ্কাতে যতো বারই খেলেছি আমরা কিন্তু খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। নিদাহাস ট্রফিতে আমরা অল্পের জন্য জিততে পারিনি। তারপরে ওয়ানডে সিরিজে ওরা একটা জিতেছে আমরা একটা জিতেছি। তারপরে ওরা একটা টেস্ট জিতছে আমরা একটা টেস্ট জিতছি। ওদের সাথে কিন্তু আমরা পিছিয়ে নেই ওদের মাটিতে, শেষ তিন চার বছরে খেলেছি ওদের মাটিতে। আমার কাছে মনে হয় যদি আমাদের সেম কমিটমেন্ট থাকে ও লড়াই করতে পারি আমরা ভালো কিছু করতে পারবো।’

তবে শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে ভালো করা কঠিনই হবে বাংলাদেশের জন্য। কারণ বাংলাদেশের স্পিন নির্ভর বোলিং আক্রমণ খুব একটা বাঁধা হবে না শ্রীলঙ্কার জন্য। স্পিন সব সময়ই ভালো খেলে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু মিরাজ মনে করেন শ্রীলঙ্কার মাটিতে লাইন লেন্থ বজায় রেখে বল করলে অবশ্যই ভালো করা সম্ভব।

মিরাজ বলেন, ‘একটা জিনিস দেখেন প্রতিটা ক্ষেত্রেই তো চ্যালেঞ্জ দিতে হবে। আমি মনে করি যে স্পিনারদের জন্য লাইন এবং লেন্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কার মাটিতে। কারণ এখানে উইকেট খুব ভালো থাকে। আমি মনে করি হয়তো এক দুই দিন নাও কাজ করতে পারে। তিন চার দিন চলে যাবে তখন কিন্তু উইকেটে হেল্প থাকবে। আমার কাছে মনে হয় আমরা স্পিনাররা ঐ এডভান্টেজ নিতে পারি। আমরা শেষ কয়েকটা টেস্টে খেলেছি ঐ এডভান্টেজ ছিলো না।

করোনা পরিস্তিতির কারণে শ্রীলঙ্কা সিরিজেও দলের সাথে নেই স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। তাই এই সিরিজে স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করবেন মিরাজদের শৈশবের কোচ সোহেল খান। ছোট বেলার কোচকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত মিরাজ জানিয়েছেন কোচ তাঁর সব কিছু জানার কারণে কাজ করতে সুবিধা হচ্ছে তাদের।

তিনি বলেন, ‘হা দেখেন আমরা কিন্তু অনেক দিনই কাজ করছি স্যারের সাথে, বিশেষ করে সোহেল স্যারের সাথে। আমি ছোট বেলা থেকেই কাজ করছি। তাইজুল ভাই তো অনেক আগে থেকেই স্যারের সাথে কাজ করছে। আমাদের একটা এডভান্টেজ আছে যে সে আমাদের ভালো করে চেনে। এবং আমাদের কোন জায়গাতে উন্নতি করতে হবে সে ভালো বলতে পারে।’

এই স্পিনার আরো বলেন, ‘যেমন আমরা এখানে দুই তিন দিন অনুশীলন করেছি। আমাকে নিয়েও কাজ করেছে, তাইজুল ভাইকে নিয়েও কাজ করেছে। আমরা যখন দেশের মাটিতে থাকি তখন স্যারের সাথে কাজ করা হয়। দেশের বাইরে হয়তো বেশী পাইনা। এই একটা সুযোগ পেয়েছি তাঁর সাথে আলোচনা করবো কি করলে ভালো হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link