More

Social Media

Light
Dark

স্পিনারদের সম্ভাবনা দেখছেন ভেট্টোরি

উপমহাদেশের উইকেটের থেকে নিউজিল্যান্ডের উইকেট গুলোতে একটু বেশী বাউন্স থাকে এবং মাঠে দেখা যায় প্রচন্ড বাতাস। কন্ডিশনের কারণেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্পিনারদের থেকে বেশী সুবিধা পেয়ে থাকেন পেসাররা। পেস বান্ধব উইকেটের কথা মাথায় রেখে তাই সাত পেসার নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছে বাংলাদেশ।

তবে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি মনে করেন নিউজিল্যান্ডে রাজত্ব করতে পারেন স্পিনাররাও। আর নিজের যুক্তির পক্ষে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ উদাহরণ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সাম্প্রতিক সময়ে স্পিনারদের পারফরম্যান্সকে।

সদ্য শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন কিউই স্পিনার ইশ সোধি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগার শিকার করেছিলেন ৮ উইকেট; যেখানে এক ম্যাচেই ৩০ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।

ads

এছাড়া মিশেল স্যান্টনার চার ম্যাচে ৬ উইকেট এবং অ্যাডাম জাম্পা পেয়েছিলেন পাঁচ ম্যাচে ৪ উইকেট।

নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজে ১৭ উইকেট শিকার করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ড্যানিয়েল ভেট্টোরি বিশ্বাস করেন সুযোগ পেলে নিউজিল্যান্ডেও ভালো করবেন এই স্পিনার। এছাড়াও ভেট্টোরি ভরষা রাখছেন নাসুম আহম্মেদ এবং শেখ মেহেদী হাসানের উপরও।

ভেট্টোরি বলেন, ‘আমার মনে হয় স্পিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মিশেল স্যান্টনার, ইশ সোধি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সফল ছিল। এমনকি অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্পিন সাদা বলের ক্রিকেটের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এবং বিশেষত মিরাজ, তাঁর অভিজ্ঞতা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাঁর দারুণ পারফরম্যান্সের বিচারে সে দলকে অনেক কিছু দিতে পারবে, সঙ্গে মেহেদী এবং নাসুম আছে, তাঁরাও দলে জায়গা করে নিতে পারে এবং দলের পারফরম্যান্সে ভূমিকা রাখতে পারে।’

২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দলের স্পিন পরামর্শক হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। নিউজিল্যান্ডের এই সাবেক অধিনায়কের সাথে ১০০ দিনের চুক্তি করেছিলো বিসিবি। কিন্তু করোনা ও পারিবারিক কারণে বাংলাদেশ দলের সাথে বেশী কাজ করা হয়নি ভেট্টোরির। কোয়ারেন্টাইন জটিলতায় আগের সিরিজেও দলের সাথে ছিলেন না তিনি। ভেট্টোরি জানিয়েছেন দীর্ঘ দিন পর সবার সাথে দেখা হওয়াতে ভালো লাগছে তাঁর।

ভেট্টোরি বলেন, ‘ফিরতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। বিশেষ করে কুইন্সটাউনে বাংলাদেশ খেলোয়াড়দের সঙ্গে। এক বছর পরে সবাইকে দেখতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। পরিচিত মুখদের দেখতে পেরে ভালো লাগছে। নেটে স্পিনারদের সঙ্গে কাজ করে দারুণ লাগছে। অনেক লম্বা সময় পর, তাই যেকোন ক্রিকেট, যেকোন আউটডোর অ্যাক্টিভিটি ভালো লাগছে। নিউজিল্যান্ড খুবই ভাগ্যবান যে তারা খেলাধুলা চালিয়ে যেতে পেরেছে এবং বাংলাদেশ সিরিজ হবে কেবল মাত্র সেটিরই ধারাবাহিকতা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link