More

Social Media

Light
Dark

এক বছরের রানের চূড়া

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করা সব সময়ই কঠিন। ঘরোয়া ক্রিকেট, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে পারফর্ম করে কত তরুণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে ব্যার্থ হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। তবে এই কঠিনের মধ্যেই দুর্দান্ত কাজ করে ফেলেছেন কেউ কেউ, এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ রান করে ছাড়িয়ে গিয়েছেন ঐ বছরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করা সবাইকে। সেটাও আবার সব ফরম্যাট মিলিয়েই। তা এই কঠিনেরে ভালবাসা পারফর্মার কারা?

  • কেন উইলিয়ামসন – ২৬৯২

কেন উইলিয়ামসনের এই দুর্দান্ত ফর্মের বছর ছিল ২০১৫। সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৪৬ ইনিংসে তিনি করেছিলেন ২৬৯২ রান, গড় ৬৫.৬৫! এই অতিমানবিক পারফরম্যান্সের মধ্যে উইলিয়ামসনের নামের পাশে ছিল ৮ সেঞ্চুরি আর ১৪ হাফ-সেঞ্চুরি। ফরম্যাট ভেদে চিন্তা করলে টেস্টে ৯০.১৫ গড়ে করেছিলেন ১১৭২ রান, ওয়ানডেতে সেটা ছিল ৫৭.৩৩ গড়ে ১৩৭৬ রান। টি-টোয়েন্টিতেও বছর জুড়ে ব্যাটিং-প্রদর্শনী করেছিলেন উইলিয়ামসন, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৫.৫১! যদিও তিনি চার টি-টোয়েন্টির বেশি ব্যাট হাতে নামতে পারেননি, এই চার টি-টোয়েন্টিতে উইলিয়ামসন রান করেছিলেন ১৪৪।

ads
  • বিরাট কোহলি – ২৭৩৫

২০১৮ সালের শুরুটাই বিরাট কোহলির হয়েছিল দুর্দান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সিরিজে তিন সেঞ্চুরি করে সেই যে শুরু করলেন, পুরো বছরে আর থামাথামি নেই। সমানে বিরাটের ব্যাট চলেছে সব খানে। টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি আর ৫ হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫৫.০৮ গড়ে ১৩২২ , ওয়ানডেতে  ১৪ ইনিংসে ৬ সেঞ্চুরি আর ৩ হাফ-সেঞ্চুরিতে ১২০২ আর টি-টোয়েন্টিতে ৯ ইনিংসে ২১১ রান- বিরাট কোহলির জারিজুরি বহাল ছিল সব ফরম্যাটেই। বছর শেষে যেটা দাঁড়াল ৪৭ ইনিংসে ২৭৩৫ রান! গড়? ৬৮.৩৭!

  • বিরাট কোহলি – ২৮১৮

২০১৮ এর পরিসংখ্যান তো একটু আগেই বলা হয়েছে, ২০১৭ সালটাও কিন্তু বিরাটের দুর্দান্ত। অবশ্য শুধু যে রানের খাতাতেই তাও নয়, ব্যাক্তিজীবনেও ২০১৭ সালটা বিরাট মনে রাখবেন প্রেমিকা আনুশকা শর্মাকে জীবনসঙ্গীনি করার বছর হিসেবে। যা হোক, ক্রিকেটে ফেরা যাক। ২০১৭ সালে ৫২ ইনিংসে বিরাট করেছিলেন ২৮১৮ রান, গড় ছিল ৬৮.৭৩। সে বছর সাদা পোশাকে মাত্র ১০ ম্যাচে মাঠে নেমেই হাজারের ওপর রান হাঁকিয়েছিলেন তিনি (১০৫৯)। ওয়ানডে আর টেস্টে সেটা ছিল যথাক্রমে ৭৬.৮৪ গড়ে ১৪৬০ রান আর ১৫২.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ২৯৯ রান।

  • রিকি পন্টিং – ২৮৩৩

পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে এমনিতেই ফর্মের তুঙ্গে থেকেই খেলে গিয়েছেন রিকি পন্টিং। অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বিশ্বকাপ জিতেছেন। তবে ২০০৫ সালে নিজের আর সব কিছুকেই মনে হয় ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পুরো বছর জুড়ে সে সময় করেছেন ৯ সেঞ্চুরি আর ১৫ হাফ-সেঞ্চুরি। ফরম্যাট ভেদে আলাদা করে বললে টেস্টে ২৮ ইনিংসে ৬৭.১৩ গড়ে ১৫৪৪ , ওয়ানডেতে ৩ সেঞ্চুরি আর ৮ হাফ-সেঞ্চুরিতে ১১৯১। আর টি-টোয়েন্টি? সেটা আলাদা করে মনে রাখার মতই। সে বছরই টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত হয়ে তিনি খেলেছিলেন ৯৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, যেটা কিনা এখনও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন অব্দি অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। যাক আসল কথাই বলা হয়নি। পুরো বছরজুড়েই রিকির মোট ছিল ২৮৩৩!

  • কুমার সাঙ্গাকারা – ২৮৬৮

কুমার সাঙ্গাকারা, এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ রান করা ক্রিকেটার এখন অব্দি তিনিই! ২০১৪ সালে তিনি যে রেকর্ড স্থাপন করে গিয়েছেন তা এখন অব্দি ভাঙত পারেনি কেউই। সাবেক এই শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান সে বছর ৫৩.১১ গড়ে করেছিলেন ২৮৬৮ রান। গোটা আটেক সেঞ্চুরি আর ১৮ টা হাফ-সেঞ্চুরি ছিল সাঙ্গাকারার নামের পাশে। তবে বিরাট কোহলি নিজের বিয়ের জন্য ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সিরিজটা মিস না করলে হয়তো সাঙ্গাকারার রেকর্ডটা আর অক্ষত থাকত না।

 

লেখক পরিচিতি

আদ্যোপান্ত স্টোরিটেলার!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link