More

Social Media

Light
Dark

‘উইকেটে স্পিন ধরলেই সবাই শোরগোল তোলে’

আহমেদাবাদ টেস্টের উইকেটের সমালোচনা থামছে না সহসাই। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ান আর ইংল্যান্ডের কিংবদন্তিরা বেশ সরব। তবে, একটু ভিন্নপথে হাঁটলেন অস্ট্রেলিয়ান অফস্পিনার নাথান লিঁও। তিনি মনে করেন, স্পিন সহায়ক উইকেটের সমালোচনা হলে পেস-সহায়ক উইকেটেরও সমালোচনা হওয়া উচিৎ।

তিনি মনে করেন, আহমেদাবাদের উইকেটটি ছিলো অসাধারণ। গোলাপি বলের সেই টেস্টে ভারতের কাছে ১০ উইকেটে পরাজিত হয় ইংলিশরা। মাত্র ৮৪২ বলের খেলা হয় এই টেস্টে যা ১৯৩৪ সালের পর সবচেয়ে কম ওভারে শেষ হওয়া ম্যাচ।

সদ্য শেষ হওয়া ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের পিচ নিয়ে কিউরেটর আশিষ ভৌমিকের সমালোচনা করেছেন সাবেক ইংল্যান্ড খেলোয়াড়ের অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, মাইকেল ভন ও অ্যালিস্টেয়ার কুকরা। এমনকি আইসিসির কাছে পিচ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করার কথা আলোচনা করছে ইংলিশ অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। রিকি পন্টিংয়ের মত অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তিও এই পিচের বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন।

ads

লিঁও মনে করেন সফরকারীদের মাত্র একজন সামনের সারির স্পিনার (জ্যাক লিচ) নিয়ে খেলতে নামাটা ভুল ছিলো। তিনি বলেন, ‘এই টেস্টে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ার মত ব্যাপার ছিল ইংল্যান্ডের চার পেসার নিয়ে খেলতে নামা। আমার মনে হয় না এর বেশি আমাকে আর কিছু বলতে হবে।’

কিছুদিন আগেই ১০০ টেস্ট খেলা নাথান লায়নের ক্রিকেটের শুরুটা হয়েছিলো কিউরেটর হিসেবেই। পিচের ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতেই তিনি বলেন, ‘আমি সারারাত জেগে খেলাটা দেখেছি, এক কথায় অসাধারণ ছিলো। আমি তো ভাবছি এই কিউরেটরকে এসসিজিতে আনবো।’

এই জাতীয় উইকেটের ক্ষেত্রে বারবারই ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’-এর প্রসঙ্গ আসে। কিন্তু, অতি পেস সহায়ক উইকেটের কোনো সমালোচনা হয় না। সেই প্রসঙ্গ টেনে লিঁও বলেন, ‘সিমিং উইকেটে খেলতে গিয়ে আমরা যখন ৪৭,৬০ রানে গুটিয়ে যাই, তখন কেউ কোনো শব্দও করে না (পিচ নিয়ে)। কিন্তু যখনই উইকেটে স্পিন ধরে তখনই সবাই সেটা নিয়ে শোরগোল তোলে। এই বিষয়টা কখনই ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। বরং আমাকে জিজ্ঞাসা করলে বলব, এই ম্যাচ দেখে বেশ আনন্দ পেয়েছি আমি। আমি এরকম পিচ করারই পক্ষে।’

ওই টেস্টের রেজাল্টে অজিদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার আশাটা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। শেষ টেস্টে ইংল্যান্ড জয় পেলে তবেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে পারবেন নাথান লিঁওরা। অন্য যেকোনো ফলাফলে পরবর্তী মৌসুমের আগে সাদা পোশাকে আর দেখা যাবে না অজিদের।

এরই মধ্যে লিঁও ও কোচের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির খবর সংবাদমাধ্যমে আসছে। এতে নাকি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার হতাশায় ভুগছেন এমন খবর দেখা গিয়েছে!

লিঁও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, আমার যদি জেএলের (জাস্টিন ল্যাঙ্গার) সাথে সমস্যা থাকে আমি সরাসরি তাকেই বলবো। কিন্ত আমার তার সাথে কোনো সমস্যাই নেই। আমি বুঝতেই পারি না এসব গুজব কে রটায়? আমি যেকারো সম্পর্কে ড্রেসিং রুমে কিংবা বাইরে ভাবতে পারি – যদি কারো সাথে কারো সমস্যা থাকেও, আমরা একে অপরের সাথে সৎ থাকবো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link