অপেক্ষাকৃত খর্ব শক্তির দল স্লোভেনিয়া, তবুও যেন ভীষণ কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখী হয়েছিল ইংল্যান্ড। ঘুমপাড়ানির ফুটবল খেলেই স্লোভেনিয়ার সাথে গোল শূণ্য ড্র করেছে হ্যারি কেইন বাহিনী। ম্যাচের পরিসংখ্যানগুলোতে এগিয়ে থেকেও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ তাঁরা।
এদিন যেন গোল না খাওয়ার পণ করেই মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। মান বাঁচানোর খেলা খেলেছে তাঁরা। যার ফলে দুর্বল প্রতিপক্ষের জালে জড়াতে পারেনি কোনো বল। বরং হাতছাড়া করেছে বেশ কয়েকটি সুবর্ণ সুযোগ। তবে দুই দলেই পেয়েছে পরের রাউন্ডের যাওয়ার টিকিট।
এই ম্যাচে ঠিকঠাক কাজে আসেনি ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের পরিকল্পনা। মাঝমাঠের দখল নিতে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে বাদ দিয়ে শুরুতে কোনরকে মাঠে নামান তিনি। তবে প্রত্যাশার ধারে কাছেো পৌছাতে পারেননি কোনর।
হ্যারি কেইন ম্যাচ জুড়ে যেন বেশ আড়ালেই ছিলেন।তাছাড়া এদিন দেখা মিলেছে ভিন্ন এক জ্যুড বেলিংহ্যামের। তাঁর অবস্থা আরো শোচনীয় ছিল। রিয়াল মাদ্রিদের বেলিংহ্যাম আর এই বেলিংহ্যামের মধ্যে ছিল বিস্তর ফারাক। জাতীয় দলের জার্সিতে যেন নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি। বারবার আটকে গিয়েছেন স্লোভেনিয়ার ডিফেন্সে।
ম্যাচের মোড় ঘোরাতে ইংলিশ কোচ বেশ কয়েক জন খেলোয়াড়কে মাঠ থেকে তুলেও নেন। তবে ফলাফল যেন শূণ্যের কোঠায়। প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও ইংলিশরা যেন ব্যস্ত ছিল গোল রুখতেই। তাঁদের খেলা তখন ছিল স্কয়ার পাস এবং ব্যাক পাসেই সীমাবদ্ধ। হ্যারি কেইনের পেনাল্টি আদায়ের সকল চেষ্টাই নজড়ে এসেছে সবার। প্রেসিং ফুটবলের পরিকল্পনা নিয়ে উলটো নিজেদের অবস্থাই নাজেহাল হয়ে পড়ে ইংলিশ শিবির।
গোলশূণ্য ড্রতেই যেন বিজয়ের সুর শুনতে পেয়েছে স্লোভেনিয়া। ম্যাচ শেষ হতে না হতেই আনন্দ অশ্রু লক্ষ্য করা যায় তাঁদের নয়নে। কেননা তাঁরা যে রুখে দিয়েছে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে। নিশ্চিত হয়েছে পরের রাউন্ড, তাইতো ড্রতেই স্বস্তি স্লোভেনিয়ার।