More

Social Media

Light
Dark

আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে একপেশে ফাইনাল

ফাইনাল মানেই বাড়তি রোমাঞ্চ, বাড়তি উন্মাদনা – শিরোপার নেশায় উন্মত্ত হয়ে থাকা দুটি দলের মাঝে শেষ লড়াই বলে কথা। তার উপর ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনালের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছিল, নখ কামড়ানো উত্তেজনায় সেদিনগুলোতে সমর্থকেরা খেলাকে ভালবাসতে শিখেছিল।

কিন্তু এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এসবের ধার ধারেনি, রোমাঞ্চ তো দূরে থাক পুরো ম্যাচে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা চোখে পড়েনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে স্রেফ উড়ে গিয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। ৫৭ বল হাতে রেখে জিতেছিল শ্রেয়াস আইয়ারের দল, আইপিএলের নক আউট পর্বের ইতিহাসে এটিই কোন দলের সবচেয়ে বড় জয়।

আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১১৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল হায়দ্রাবাদ; এরপর কোন রূপকথা হয়নি। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের দারুণ ব্যাটিংয়ে সহজেই সেই লক্ষ্য টপকে গিয়েছে কলকাতা – তাঁদের ইতিহাসে এটা অবশ্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়ের কীর্তি।

ads

যদিও হায়দ্রাবাদ আগে কখনো এমন ব্যবধানে হারেনি। এবারই প্রথম পরাজয়ের তীব্র লজ্জা হজম করতে হচ্ছে তাঁদের। তাছাড়া আইপিএলের কোন ম্যাচে শতরানের বেশি তাড়া করার ক্ষেত্রেও ম্যাচটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়েছে। টুর্নামেন্টের দুইটি সেরা দলের দ্বৈরথ এভাবে নিষ্পত্তির দিকে যাবে, সেটা বোধহয় কেউই ভাবতে পারেননি।

তবে কলকাতাকে সেজন্য কৃতিত্ব দিতেই হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপটের সাথেই খেলেছে তাঁরা, পরিসংখ্যানও সেই কথা বলে। আইপিএলের এক মৌসুমে সর্বনিম্ন পরাজয়ের তালিকায় সবার ওপরে উড়ে এসেছে দলটি, ২০২৪ সালে কেবল তিনটি ম্যাচে হেরেছে। যদিও এই অবস্থানে তাঁদের সঙ্গী রাজস্থান রয়্যালস, ২০০৮ সালে রাজস্থানও পুরো আসরে মাত্র তিন ম্যাচে হেরেছিল।

দশ বছর পর শিরোপা জিতেছে শাহরুখ খানের দল, তবে আগের দুইবারের মত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে নয় বরং প্রতিপক্ষকে ছিড়েখুঁড়ে দিয়ে তবেই শিরোপা উৎসবে মেতেছে তাঁরা। এর ফলেই আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে একপেশে ফাইনালের সাক্ষী হয়েছে সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link