More

Social Media

Light
Dark

ভেঙ্কেটেশের ভয়হীন ইনিংস

প্রথমত বৃষ্টির হানা, তার উপর পায়ের অসহ্য ব্যথা, কোনো কিছুই ভেঙ্কেটেশ আইয়ারের ইনিংসে বাঁধা হতে পারলো না। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে তিনি ব্যাটিং করে গিয়েছেন তাঁর নিজস্ব ছন্দে।

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মুখোমুখি হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচ ১৬ ওভারে নেমে আসে। পয়েন্টস টেবিলের শীর্ষে থাকা কলকাতা চাপহীন মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামলেও, মুম্বাইয়ের জন্য এই ম্যাচ ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

টসে জিতে মুম্বাই ব্যাটিংয়ে পাঠায় কলকাতাকে। প্রথম থেকেই কলকাতার ব্যাটাররা কিছুটা ব্যাক ফুটে খেলতে থাকে। প্রথম দুই ওভারেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে তাঁরা। তারপর অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারকে সাথে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখতে থাকে ভেঙ্কেটেশ। শ্রেয়াসের ব্যাট রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে থাকলেও, ভেঙ্কেটেশের ব্যাট ছিলো বিধ্বংসী রূপে।

ads

চতুর্থ ওভারে জাস্প্রিত বুমরাহর বলে শ্রেয়ার আইয়ারের ১ রানের কল। যাওয়া না যাওয়ার দ্বিধা কাটিয়ে ভেঙ্কেটেশ আইয়ার অধিনায়কের ডাকে সাড়া দিলেন। অপর প্রান্তে পৌছেও গেলেন। তবে তিলক ভার্মার করা থ্রো আঘাত করে ভেঙ্কেটেশের পায়ের পিছনের অংশে। সাথে সাথে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। ব্যাথায় কাতরাতে থাকেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। ২২ গজে ছুটে যান কলকাতার ফিজিও। কিছুক্ষণ চলে চিকিৎসা।

আর পায়ের যন্ত্রণা কাটিয়ে ওঠার সাথে সাথেই বুমরাহ’র মুখোমুখি হন ভেঙ্কেটেশ। আর সেই বলেই বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। জানান দেন ২২ গজে তিনি আছেন এখনো। তাঁর ব্যাট থেকে ২১ বলে আসে ৪২ রান। অর্থাৎপায়ের তীব্র যন্ত্রণা নিয়েও তিনি ব্যাটিং করেন যান ২০০ স্ট্রাইক রেটে। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ৬ টি চার এবং ২ টি ছক্কার মার।

তবে এই তীব্র ব্যথা তাঁকে বেশিক্ষণ থাকতে দেয়নি ২২ গজে। পীযূষ চাওলার বলে ক্যাচ তুলে দেন সুরিয়াকুমার যাদবের হাতে। সুযোগ বুঝে সুরিয়াকুমার তালু বন্দি করেন সেই ক্যাচ। শেষ হয় কলকাতার নির্ভীক সৈনিকের ইনিংস। ১৬ ওভার শেষে ১৫৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় মুম্বাইকে।

প্রায় প্রতি ম্যাচেই রানে করে চলেছে ভারতীয় এই ব্যাটার। আর ভেঙ্কেটেশের এই ইনিংসই প্রমাণ করে কলকাতার প্রতি তিনি কতটা অনুগত। তাই তো কলকাতার বাকি ম্যাচ গুলোতেও তাঁর কাছে থেকে এমন সব ইনিংসই দেখতে চাইবে তাঁর সমর্থকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link