More

Social Media

Light
Dark

সব হারিয়ে দেউলিয়া হার্দিক পান্ডিয়া!

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে প্রত্যাবর্তেনের পরেই হার্দিক পান্ডিয়া পান অধিনায়কত্ব। সবাইকে চমকে দিয়ে রোহিত শর্মার পরিবর্তে তাঁকে দেয়া হয় দলের ভার। তাই প্রশ্ন থেকেই যায় এটা শুধুই কি কৌশলগত পরিবর্তন নাকি রয়েছে ব্যক্তিগত কোনো কারণ?

রোহিত শর্মা তাঁর ব্যাটিং আর অধিনায়কত্বের দক্ষতা দিয়ে মুম্বাইকে এনে দিয়েছেন অসংখ্য জয়ের স্বাদ। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফ্রাঞ্চাইজিটি তাঁকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। কারণ হিসেবে রোহিতের বয়স আর ফিটনেসকে সামনে নিয়ে আসা হয়। যাইহোক, ঘটনার ভিতর রয়েছে বিশ্বাসঘাতকতা এবং আর্থিক প্রতারণার গল্প। যা সরাসরি হার্দিক পান্ডিয়ার জীবন এবং ক্যারিয়ারকে প্রভাবিত করে।

হার্দিক পান্ডিয়ার সৎ ভাই, বৈভব পান্ডিয়ার সাথে জড়িত সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি, মর্মান্তিক বিশ্বাসঘাতকতার জন্ম দেয়। সেসব ঘটনাবলি আম্বানি পরিবারের আশ্রয় এবং সমর্থন চাইতে হার্দিকের সিদ্ধান্তকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছিল।

ads

হার্দিক এবং তার ভাই ক্রুনালের সাথে প্রায় ৪.২৫ কোটি রুপি প্রতারণা করে বসেন তাদেরই সৎ ভাই বৈভব পান্ডিয়া। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুম্বাই পুলিশ হার্দিকের বৈভবকে গ্রেপ্তার করে। পান্ডিয়া ব্রাদারস ২০২১ সালে যৌথভাবে একটি পলিমার ব্যবসায় নেমেছিলেন। সে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বৈভবকে।

বৈভব গোপনে একই ব্যবসায় তার নিজস্ব মালিকানা ফার্ম প্রতিষ্ঠা করে। বেশ চতুরতার সাথে সে তাঁর ভাইদের ধোঁকা দেয়। তাদের সাথে চুক্তির শর্তাবলী ভঙ্গ করে। আর এই বিশ্বাসঘাতকতা হার্দিক পান্ডিয়াকে দেউলিয়া করে তোলে। ফলে রাতারাতি প্রায় নিঃস্ব হয়ে যান হার্দিক।

তার সৎ ভাই মোটা অংকের সম্পদ নিয়ে পালিয়ে যায়। তখন তাঁর সুসজ্জিত জীবনধারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সূত্র অনুসারে, প্রকাশ করা সম্পদের চেয়ে দশ গুণ পরিমাণ বেশি সম্পদ নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান বৈভব।

এই কঠিন অবস্থায় হার্দিক আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য আম্বানি পরিবারের শরণাপন্ন হন। ভারতের বিজনেস টাইকুন এই গ্রুপ তাকে এক নবজীবন দান করে। তার করুণ পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তারা তাকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের হয়ে পুনরায় খেলার সুযোগ করে দেয়।

তাই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হিসাবে হার্দিক পান্ডিয়ার নিয়োগ স্রেফ একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত নয়। বরং ব্যক্তিগত অশান্তি এবং স্থিতিশীলতার অন্বেষণের শেষ পরিণতি। তার সৎ ভাইয়ের বিশ্বাসঘাতকতা পান্ডিয়াকে আম্বানি পরিবারের শরণাপন্ন হতে বাধ্য করে। যেখানে তিনি আর্থিক ধ্বংসজজ্ঞের মধ্যে আশ্রয় পান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link