More

Social Media

Light
Dark

ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান ফ্রম পাকিস্তান

পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাসে বোলারদের আধিপত্যের কথা জানা আছে সবারি, তবে ব্যাটাররাও কম যান না। অনেক কিংবদন্তি ব্যাটার উঠে এসেছেন এই দেশ থেকে, নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ দিয়েছেন বাইশ গজে। দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলেছেন তাঁরা, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে অতিমানবীয় পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন।

এখন দেখে নেয়া যাক পাকিস্তানের সেসব তারকাদের, যারা দেশটির টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

  • হানিফ মোহাম্মদ (৩৩৭ রান)

ads

১৯৫৮ সাল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি, ৪৭৩ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে পুনরায় ব্যাটিংয়ে নামতে হয় তাঁদের। আর সেসময় একাই ৩৩৭ রান করে ম্যাচ বাঁচানোর পাশাপাশি ইতিহাস গড়েন হানিফ মোহাম্মদ।

এখন পর্যন্ত এটিই পাকিস্তানি ব্যাটারদের মাঝে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড। সবমিলিয়ে হানিফ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৫৫ ম্যাচ খেলেছেন, করেছেন প্রায় চার হাজার রান। ১২টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ১৫টি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি।

  • ইনজামাম উল হক (৩২৯ রান)

২০০২ সালে হানিফ মোহাম্মদের রেকর্ড ভাঙার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইনজামাম উল হক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লাহোর টেস্টের প্রথম ইনিংসে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি, আউট হয়েছেন শেষ ব্যাটার হিসেবে। ততক্ষণে তাঁর নামের পাশে জমা হয়েছিল ৩২৯ রান।

এই পারফরম্যান্সের কল্যাণে কিউইদের বিপক্ষে সেবার বড় জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইনজামাম বরাবরই ছিলেন ম্যাচ-উইনার। সবমিলিয়ে টেস্ট ফরম্যাটে ৮৮৩০ রান করেছেন তিনি, এছাড়া ওয়ানডেতে করেছেন ১১ হাজারের বেশি রান।

  • ইউনুস খান (৩১৩ রান)

লাল বলের খেলায় ইউনুস খানকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার ভাবা হয়। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এমন ভাবনার যথার্থতা প্রমাণ করেছেন তিনি নিজেই; লঙ্কানদের রান পাহাড়ের বিপরীতে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৩১৩ রানের ইনিংস। এছাড়া ক্যারিয়ার জুড়ে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন এই তারকা।

  • আজহার আলী (৩০২* রান) 

চতুর্থ এবং সবশেষ পাক ক্রিকেটার হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন আজহার আলী। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওপেনিং করতে নেমে অপরাজিত ৩০২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তাঁর অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ভর করে সেই ম্যাচে ৫৬ রানের রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছিল মিসবাহ উল হকের দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link