More

Social Media

Light
Dark

তবুও নির্ভার নয় উইন্ডিজ

কাইল মেয়ার্সের অবিশ্বাস্য ইনিংসে প্রথম টেস্টে হেরেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট হাতে ৬৮ রানের ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ৬ ওভার বল করার পর চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান সাকিব আল হাসান। চোটের কারণে ঢাকা টেস্টেও খেলা হবে না এই অলরাউন্ডারের।

প্রথম টেস্ট শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ জানিয়েছিলেন সাকিব না থাকাতে তাদের বোলিং ইউনিটে বড় প্রভাব পড়েছে। সাকিব থাকলে বোলিং আরো গোছানো হতো। সাকিববিহীন বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণকে সাবলীল ভাবে খেলে এশিয়ার মাটিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে ক্যারিবিয়ানরা। ঢাকা টেস্টেও তাই সাকিবকে না পাওয়া স্বাগতিকদের জন্য বড় ধাক্কা হয়েই এসেছে।

তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স ভাবছেন অন্য রকম। সিমন্স মনে করেন সাকিবের না থাকাতে খুব সুবিধা হবে না তাঁদের। ক্যারিবিয়ান কোচ জানিয়েছেন সাকিবের পরিবর্তে যে আসবে সেও যথেষ্ঠ ভালোই হবে। এছাড়া পার্থক্য গড়ে দিতে পারে অন্য যে কেউ।

ads

সিমন্স বলেন, ‘এটা (সাকিবের না থাকা) আমাদের সুবিধা দেবে না। এটা ঠিক, বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সে। তবে তাঁদের অনেক স্পিনার এবং ব্যাটসম্যান আছে, যারা এখানে স্পিন বোলিং করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাকিবের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের মতো এমন কাউকে তারা খুঁজে নেবে। সাকিবের মতো ভালো হয়তো হবে না, তবে টেস্টের জন্য যথেষ্টই ভালো হবে। তার অনুপস্থিতিতে আমাদের কাজ সহজ হয়ে যাবে, তেমনটা আমরা ভাবতে পারি না। এই ম্যাচ আমাদের জন্য সহজ হবে না।’

সাধারণতো ম্যাচ হারার পর হারের কারণ গুলো বিশ্লেষণ করে উন্নতির চেস্টা করে পরাজিত দল। সিমন্স মনে করেন একই কাজ করা উচিত বিজয়ীদেরও। সিমন্স জানিয়েছেন বাংলাদেশকে অল্প রানে বেঁধে ফেলতে উন্নতির জায়গা রয়েছে তাদেরও।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রতিটা জয়ের পর দলের কোন কোন জায়গাতে উন্নতির প্রয়োজন সেটা আরো ভাবা উচিত। একটা দল যখন হারে তখন তাঁরা উন্নতির চেষ্টা করে। বিজয়ীদেরও একই কাজ করা উচিত। আমাদের প্রতিটা ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে। বাংলাদেশকে ৪০০ রানের পরিবর্তে ৩০০ রানে বেঁধে ফেলতে আরো ভালো বল করতে পারি।’

চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনাররা শিকার করেছিলেন ১৩ উইকেট শিকার করলেও সিমন্স জানিয়েছেন ধারাবাহিক ছিলো না তাদের স্পিনাররা। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উইকেট তুলনামূলক বেশি স্পিন সহায়ক হয়ে থাকে। তাই সিমন্স মনে করেন উন্নতি করতে হবে এখানেও।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের ম্পিনাররা সামর্থ্য অনুযায়ী ধারাবাহিক ছিলো না। তাঁরা ভালো বোলিং করেছে, তবে উন্নতির আরো জায়গা রয়েছে। আমাদের ধারাবাহিক থাকতে হবে। চট্টগ্রামের থেকে ঢাকা আরো স্পিন সহায়ক হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link