Your cart is currently empty!
কেনো একাদশে এক পেসার!
প্রশ্নটা উঠেছিলো বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে চার স্পিনারের সাথে পাঁচ পেসার আবু জায়েদ রাহি, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেনকে দেখে। সেই প্রশ্নটা আরো জোড়ালো হয়েছে একাদশে চার স্পিনারের সাথে একজন পেসার দেখে। স্কোয়াডে কেনো তবে রাখা হয়েছে পাঁচ পেসার; চতুর্থ দিন শেষে এটার ব্যাখ্যা দিয়েছেন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
২০১৮ সালে দুই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার ইনিংসের ৪০ উইকেটের প্রতিটাই শিকার করেছিলেন বাংলাদেশের চার স্পিনার সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান। স্পিনে পরাস্ত হয়ে দুই টেস্টেই হেরেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই স্পিন নিয়ে নিজেদের দূর্বলতার কথা বার বার বলেছেন সফরকারীরা। এবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘায়েল করতে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে চার স্পিনারকে রেখে পরিকল্পনা করা হয়েছে স্পিন সহায়ক উইকেট বানানোর। মূলত স্পিন সহায়ক উইকেটে পেসাররা বাড়তি কোন সুবিধা পাননা এবং উইকেটে গতি ও বাউন্স থাকেনা। ডোমিঙ্গো জানিয়েছেন এ কারণেই একাদশে রাখা হয়েছে মাত্র একজন পেসার।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘তাই এই উইকেটে পেস বোলারদের ভালো করা কঠিন। গতি নেই, বাউন্স নেই, এসব বিবেচনা করেই আমরা ঘরের মাঠের একাদশে এক পেসার বিবেচনা করেছি।’
নিজের ব্যাখার পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে ডোমিঙ্গো উদাহরণ দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই পেসারের। চট্টগ্রাম টেস্টে দুই পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে সফরকারীরা। দুই ইনিংসে দুই পেসার ১৮৩ রান খরচ করে পেয়েছেন মাত্র ৪ উইকেট। আর ক্যারিবিয়ানদের স্পিনাররা শিকার করেছেন ১৪ উইকেট।
পক্ষান্তরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের ১০ উইকেটের ৮ টি শিকার করেছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। আর বাকি ২ উইকেট পেয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। আর ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসে পতন হওয়া ৩ উইকেটই শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাই ডোমিঙ্গো জানিয়েছেন এমন উইকেটে পেসারদের ভালো করা কঠিন, তাই প্রাধান্য দিয়েছেন স্পিনারদের।
এ প্রসঙ্গে ডমিঙ্গো বলেন, ‘অবশ্যই, চেষ্টা করছি দলে ফাস্ট বোলারদের ভেড়ানোর। এমন উইকেটে অবশ্য কঠিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশ দেখুন, তাদের কেমার রোচ ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের মতো অনেক অভিজ্ঞ দুই পেস বোলার আছে তাদের। ২৩০ রানের মতো খরচ করে তারা মাত্র ২ উইকেট (মূলত ১৮৩ রান খরচ করে ৪ উইকেট) পেয়েছে এই পিচে।’