বর্ণাঢ্য এক ক্যারিয়ার শেষে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ইতি টেনেছেন শন মার্শ। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এ অজি ব্যাটার। তবে ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে শন মার্শ ছিলেন পরীক্ষিত এক নাম।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শন মার্শের শুরুটা ২০০১ সালে। আর শেষটা হয়েছে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তবে তাঁর এই শুরু ও শেষের মধ্যে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক ব্যাপার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মার্শের অভিষেক ঘটেছিল টম মুডির অধীনে। সে সময়ে ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ছিলেন সাবেক এই অজি ক্রিকেটার।
মজার ব্যাপার হলো, ২২ বছর পর, যখন শেষ ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলতে নামছেন তখন মার্শ হচ্ছেন দলের অধিনায়ক। আর সেই দলে ছিলেন টম মুডির ভাইয়ের ছেলে ডেভিড মুডি। অর্থাৎ, মার্শের ক্যারিয়ারের শুরু আর শেষে গল্প কাকতালীয় ভাবে কিছুটা রয়ে গিয়েছে মুডি ফ্যামিলি।
অবশ্য দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এমন কাকতালীয় ঘটনার সাক্ষী মার্শ হয়েছেন বহুবার। তিনি যেমন নব্বই দশকের টম মুডির সাথে খেলেছেন, তিনি সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন ২০২০ দশকের ক্রিকেটার ক্যামেরুন গ্রিনকে। এখানেই শেষ নয়, এক সময়ের সতীর্থ টম মুডিকে একবার শন মার্শের কোচ হিসেবেও দেখা গিয়েছে।
আইপিএল ইতিহাসে প্রথম আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটার ছিলেন শন মার্শ। বর্তমান পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেছেন ৯ টি মৌসুম। এ সময়কালে ৬৯ ইনিংসে প্রায় ৪০ গড়ে করেছেন ২৪৭৭ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩২.৭৪। যদিও কখনোই শিরোপা জেতা হয়নি মার্শের পাঞ্জাবের।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শন মার্শ টেস্ট খেলেছেন ৩৮টি। এ ছাড়া ৭৩টি ওয়ানডে ও ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। টেস্টের ৬৮ ইনিংসে ৬ শতকে ৩৪.৩১ গড়ে মার্শের রান ২২৬৫। ওয়ানডেতে ৭২ ইনিংসে ৭ সেঞ্চুরিতে ৪০.৭৭ গড়ে রান ২৭৭৩। টি-টোয়েন্টিতে ১৫ ইনিংসে ১৮.২১ গড়ে রান ২৫৫। শন মার্শের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চিত্রটা এমনই।
তবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাত হাজারের উপরে রান রয়েছে এ ব্যাটারের। এ ছাড়া পার্থ স্কোর্চারের হয়ে টানা ২ বার শিরোপা জয়ের কীর্তি রয়েছে এ ব্যাটারের।