More

Social Media

Light
Dark

এক ওভারে তিন নো বল, এক ম্যাচে সাতটি!

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আর ফিক্সিং- দুটোই যেন এক সূত্রে গাঁথা। আইপিএল থেকে বিপিএল বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ কোনো না কোনো সময় বিতর্কের মুখে পড়েছে এই ফিক্সিং ইস্যুতেই। বিপিএলে আশরাফুল কাণ্ডের পর অবশ্য এমন কোনো কিছু দৃশ্যত হয়নি।

তবে দশম বিপিএলে এসে যেন সেই সন্দেহেরই উদ্রেক ঘটালেন পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। স্পিনার হয়েও এক ওভারে দিলেন তিন তিনটা নো বল! ফরচুন বরিশালের হয়ে এ দিন ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন শোয়েব মালিক। শুরুটা মন্দ করেননি। টানা তিনটা বল করেছিলেন নির্বিঘ্নেই।

কিন্তু চতুর্থ বলে গিয়ে ওভার স্টেপ করে নো বল দিয়ে বসেন এ অলরাউন্ডার। ততক্ষণ পর্যন্ত এটি স্বাভাবিক বলয়ের মধ্যেই ছিল। কিন্তু চতুর্থ বল ডট করার পর টানা ২ টি নো বল করেন তিনি। আর সেই দুটি বলও ওভার স্টেপ করে নো হয়।

ads

স্পিনার তো বটেই, যে কোনো বোলারেরই এক ওভারে ৩ টা নো দেওয়াটাই অস্বাভাবিক এক ঘটনা। যদিও ক্রিকেট ইতিহাসে এর চেয়েও বেশি সংখ্যক নো বল দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। তবুও শোয়েব মালিক স্পিনার বলেই কিনা, সন্দেহের তির তাঁর দিকে অনুমিতভাবেই যাচ্ছে।

ক্রিকেটের ক্যারিয়ারে এমন একটা সময়ে এসে ফিক্সিং কাণ্ডে নিশ্চয়ই জড়িয়ে পড়তে চাইবেন না তিনি। তবে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে তাঁর এই ওভার বিস্ময় যেমন জাগিয়েছে, তেমনি অনেক প্রশ্নেরও জায়গা তৈরি করেছে। তবে নো বল ইস্যুতে শুধু শোয়েব মালিক নয়, প্রশ্ন আছে খুলনা-বরিশালের গোটা ম্যাচটা নিয়েই।

এ ম্যাচে সব মিলিয়ে নো বল হয়েছে ৭ টা। অথচ বিপিএলের আগের ৫ ম্যাচ মিলিয়ে নো বলের সংখ্যা মাত্র ৫। অর্থাৎ এক ম্যাচেই ছাপিয়ে গিয়েছে আগের সব ম্যাচগুলোকে। এ ম্যাচে শোয়েব মালিক ছাড়া নো বল করেছেন ওশান থমাস, মুকিদুল মুগ্ধ, মোহাম্মদ ইমরান।

নো বল ইস্যুতে ফিক্সিংয়ের গন্ধ। অনুমান নির্ভর মন্তব্য হলেও অন্তত এই সন্দেহকে উড়িয়ে দেওয়ার অবকাশ নেই। অবশ্য এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার অংশ হওয়াটাই কাম্য। বিশ্ব ক্রিকেট নিশ্চয়ই নতুন কোনো ফিক্সিংয়ের অপেক্ষায় নেই।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link