More

Social Media

[ivory-search id="135666" title="Post Search"]
Light
Dark

আফিফের ‘ক্যারিয়ার শেষ’ হওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ ধ্রুবতারা হবেন তিনি। এমন একটা ভবিষ্যদ্বাণী ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সমর্থকদের মুখ থেকে ক্রমশ ছড়িয়েছে গত কয়েক বছর ধরেই। তবে সময় যত গড়িয়েছে সেই প্রত্যাশা ঠিক ততটাই নৈরাশ্যের জালে জড়িয়েছে।

আফিফ হোসেন ধ্রুব, বাংলাদেশ ক্রিকেটে আর ধ্রুবতারা হতে পারেননি। সামনের সময়েও পারবেন কিনা, তা নিয়ে এখন আশা করাটাই যেন উচ্চাশার সামিল। ২০২৩ বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাননি। ওয়ানডে ক্রিকেটের একাদশে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে তিনি পিছিয়ে পড়েছেন।

দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা যখন ক্যারিয়ার সায়াহ্নে, তখন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কাণ্ডারি হিসেবে আফিফই হতে পারতেন তাদের উত্তরসূরী। কিন্তু বাংলাদেশ দল যখন তারুণ্যের উদ্দামে সম্মুখ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আফিফ দূরে সরে যাচ্ছে নিষ্প্রভতার আঁধারে।

ads

নিউজিল্যান্ড সফরে এক রকম তারুণ্য নির্ভর দলই পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। এ যাত্রায় ক্যারিয়ারের দারুণ একটা লাইফলাইন পেয়েছিলেন আফিফও। ওয়ানডেতে সুযোগ হয়নি। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই পেয়েছিলেন সুযোগ। কিন্তু সুযোগটা যেন হেলায় হারালেন এ ব্যাটার।

৬ বলে ১ রান সম্বল তাঁর। তবে তার চেয়েও দলের বিপত্তি বেড়েছে আফিফের নড়বড়ে ব্যাটিংয়ের পর উইকেট খুইয়ে দিয়ে আসাটা। দলীয় ৯৭ রানে তিনি যখন ফিরলেন, দল কার্যত তখন সাময়িক চাপের মুখে দাঁড়িয়ে।

মাহেদী-লিটনের অনবদ্য জুটিতে বাংলাদেশের রক্ষা হয়েছে দিনশেষে। তবে নিষ্প্রভ আফিফ যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের থেকে ছিটকে যাওয়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন। ফর্মহীনতায় নিজের দায় যেমন আছে, কিছুটা দায় বর্তায় টিম ম্যানেজমেন্টের উপরও ।

এই, যেমন আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লিটনের সাথে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন আফিফ। তাতে ২০ বলে ২৪ রান করা আফিফ খুব দারুণ কিছু করেননি বটে, তবে লিটনের সাথে তাঁর জুটি গড়িয়েছিল ৬৭ রান পর্যন্ত।

কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজে এসেই আবার পুরোনো পজিশন ছয়েই ফিরে যেতে হয়েছে আফিফকে। অবশ্য নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশেই ছিল ৪ ওপেনার। স্বভাবতই সুযোগ মেলেনি আফিফের।

আর টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনাতেও যে, তিনি গুডবুকে নেই, তাও পরিস্কায় হয়েছে এ ম্যাচেই। সাকিব দলে নেই। মিডল অর্ডারে শক্তি বাড়াতে তাই আফিফের উপর ভরসা রাখতেই হতো। টিম ম্যানেজমেন্টকে তাই বাধ্য হয়েই বিকল্প হিসেবে আফিফকে বেছে নিতে হয়েছে।

কিন্তু আফিফ যে সুযোগটা পাচ্ছেন কিংবা পাবেন, তা কাজে লাগাতে না পারলে অচিরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে অঘোষিত বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে। কেননা, এই স্কোয়াডেই রয়েছেন শামীম পাটোয়ারি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যার সক্ষমতা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভালই। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ ব্যাটারকে একাদশের বাইরে রেখেই দল সাজিয়েছিল বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আফিফ সুযোগ পাবেন কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছেই। তবে পেলেও তাঁকে পারফর্ম করেই টিকে থাকতে হবে। এই চ্যালেঞ্জটা জয় করতে পারবেন তো আফিফ? নিজের দু:সময় পেছনে পেলে ভবিষ্যতের তারকা হওয়ার উদাহরণ বাংলাদেশ দলেই আছে। আফিফও নিশ্চয়ই এই দুঃসময়ের বৃত্ত থেকে বের হতে চাইবেন।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link